বর্ধমান জেলার কাটোয়ায় এক চার বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। ১৪ ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত পাকড়াও পুলিশের হাতে। কাটোয়ার বিকেহাট জঙ্গল থেকে ধরা হয় তাকে। অভিযুক্তকে খোঁজার জন্য ড্রোন ব্যবহার করে পুলিশ।স্থানীয় সূত্রে খবর, কাটোয়ার একটি গ্রামে ওই শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। শিশুটিকে ভুট্টা খাওয়ানোর নাম করে বাড়ি থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছিল। অভিযুক্ত সেমন্ত মাঝি (চরণ) পুলিশের চোখে ধুলো দিতে নিকটবর্তী গ্রামের জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল বলে পুলিশ জানতে পারে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাহুল পাণ্ডে বলেন, ‘অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করার জন্য আমরা এসডিপিও কাশীনাথ মিস্ত্রি এবং আইসি তীর্থেন্দু গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম গঠন করি। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করা হয়।’ তাঁর দাবি, পুলিশ নিজস্ব সোর্স-সহ ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য নিয়ে গভীর রাতে বিকেহাট এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্তকে খুঁজতে ‘ড্রাগন লাইট’ ব্যবহার করা হয়। পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ প্রায় একশো জন অভিযুক্তকে সন্ধানের জন্য তল্লাশিতে নেমেছিল। অভিযুক্ত যুবক ঝোপঝাড়ের মধ্যে লুকিয়ে ছিল। খাটো চেহারার কারণে তাকে খুঁজতে হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ রাহুল পাণ্ডে আরও জানান, ধৃতকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে চেয়ে শনিবার কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। যদিও, শনিবার অভিযুক্তের পক্ষে কোনও আইনজীবী সওয়াল করেননি। অন্যদিকে, নির্যাতিতা শিশুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। শিশুর পরিবারের সদস্যরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।