• তমলুকে নদীবাহিত পানীয় জল প্রকল্পের কাজের সূচনা 
    বর্তমান | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: আম্রুত প্রকল্পে তমলুক শহরে নদীবাহিত পানীয় জলপ্রকল্পের কাজের সূচনা হল। শনিবার এই উপলক্ষ্যে তমলুক শহরে দক্ষিণচড়ায় এক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) অনির্বাণ কোলে, পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়, ভা‌ইস চেয়ারপার্সন লীনা মাভৈ এবং তমলুকের এসডিপিও আফজল আব্রার প্রমুখ ছিলেন। ১০৭ কোটি টাকা খরচে তমলুক শহরে বাড়ি বাড়ি নদী বাহিত পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। গত ৪মার্চ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। শনিবার তার কাজের শুভারম্ভ হল। নারকেল ফাটিয়ে এবং পুজো করে ওই মেগা প্রজেক্টের কাজ শুরু হল।

    উল্লেখ্য, পুরসভার চেয়ারম্যান নদীবাহিত জলপ্রকল্পের জন্য তমলুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভায় নজরে এনেছিলেন। তারপরই পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর থেকে এনিয়ে সার্ভে হয়। তমলুক শহরে জলের সমস্যা প্রকট। নদীবাহিত জল প্রকল্প না হলে আগামী দিনে এই সমস্যা আরও ভয়াবহ জায়গায় পৌঁছনোর আশঙ্কা ছিল। তাই রাজ্য সরকারও এখানে নদীবাহিত জল প্রকল্প নিয়ে আগ্রহ দেখায়। সেইমতো ১০৭কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। এই জল প্রকল্পের জন্য শহরে মোট ১২৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাইপ লাইন পাতা হবে। এজন্য বিস্তর খোঁড়াখুঁড়ি হবে। মানুষজনের কিছুটা সমস্যা হবে। বৃহত্তর স্বার্থে এটা মেনে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। যদিও জনবহুল এলাকায় খোঁড়াখুঁড়ির কাজ রাতে করা হবে বলে মিউনিসিপ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিরেক্টরেটের ইঞ্জিনিয়াররা আশ্বস্ত করেছেন। 

    আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে ওই প্রকল্প সম্পূর্ণ হওয়ার কথা। দনিপুরের কাছে রূপনারায়ণ নদ থেকে জল তোলা হলে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে সেই জল ১৮নম্বর ওয়ার্ডে দক্ষিণচড়ায় আনা হবে। সেখানে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে জল পরিস্রুত করার জন্য শহরের ছ’টি প্রান্তে অবস্থিত ছ’টি ওভারহেড রিজার্ভারে জল পাঠানো হবে। এই মুহূর্তে তিনটি রিজার্ভার আছে। আরও তিনটি ওভারহেড রিজার্ভার হবে। প্রতিদিন মাথাপিছু ১৩৫ লিটার জল সরবরাহ করা হবে। যেসব বাড়িতে জলের সংযোগ এখনও যায়নি সেইসব বাড়িতে সংযোগ দেওয়া হবে। পাশাপাশি জলের মিটার বসানো হবে। এতদিন তমলুক পুরসভা এলাকায় ভূগর্ভস্থ জল সরবরাহ করা হতো। এবার নদীবাহিত জল পরিস্রুত করে বাড়ি বাড়ি সরবরাহ করা হবে। 

    এদিন অতিরিক্ত জেলাশাসক(জেলা পরিষদ) কাজের গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার উপর জোর দেন।
  • Link to this news (বর্তমান)