• বিশ্বভারতীতে ছাত্রীমৃত্যু, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তুলল পরিবার
    বর্তমান | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: বিশ্বভারতীর শিল্পসদনের ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় এবার নয়া মোড়। মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে বলে শান্তিনিকেতন থানায় এফআইআর করলেন মৃত অনামিকা সিং-এর মা প্রেমলতাদেবী। তাঁর দাবি, ওর ওপর এমন কিছু চাপ তৈরি করা হয়েছিল, যে কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। আমরা চাই পুলিস প্রকৃত সত্য উদঘাটন করে দোষীর কঠোর শাস্তি দিক। তদন্তে নেমে শুক্রবার মৃত ছাত্রীর বেশকিছু হুমকি দেওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের হদিশ পায় পুলিস। 

    হুমকির পিছনে কী উদ্দেশ্য ছিল, কেন অনামিকাকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল খতিয়ে দেখছে পুলিস। শুক্রবার মৃতদেহ রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছিল পুলিস। শনিবার ছাত্রীটি যে হস্টেলে থাকতেন, সেখান থেকে ভিডিওগ্রাফারের উপস্থিতিতে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক টিম। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হওয়ায় মৃতের পরিবার এদিন অনামিকার দেহ নিয়ে উত্তরপ্রদেশ ফিরে যায়। তবে এই ঘটনায় অভিযুক্তকে শীঘ্রই ধরা হবে বলে পরিবারকে আশ্বস্ত করেছে পুলিস। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর শিল্পসদনের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের পঞ্চম সেমেস্টারের ছাত্রী অনামিকা বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। প্রেমলতাদেবী জানান, কোনও কিছুর চাপে পড়ে মেয়ে অঘটন ঘটিয়েছে। শনিবার দুর্গাপুর থেকে চারজন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ শান্তিনিকেতনে আসেন। পুলিসের উপস্থিতিতে ওই দল এদিন বিশ্বভারতীর আম্রপালি হস্টেলে যায়। অনামিকা যে ঘরে থাকতেন, সেই ঘর মারা যাওয়ার পরপরই সিল করেছিল পুলিস। 

    ১২১ নম্বর ঘর থেকে এদিন ভিডিওগ্রাফারের উপস্থিতিতে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে ফরেন্সিক দল। 

    পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার মোবাইল, টাকা পাঠানোর নথি, ছাত্রীর বেশকিছু খাতা সহ তদন্তে কাজে লাগতে পারে এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি সিজ করা হয়েছে। যদিও পরিবার ও শিল্প সদনের অধ্যাপক এবং সহপাঠীদের দাবি যে অ্যাকাউন্টগুলিতে অনামিকা টাকা পাঠিয়েছিলেন, সেগুলি কার তা দ্রুত বের করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করুক পুলিস। তা হলে অনামিকার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
  • Link to this news (বর্তমান)