• মেডিক্যালে পড়ার খরচ জোগাড় করতে ঘুম উড়েছে শরণদীপের
    বর্তমান | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাওয়ার পর এখন হস্টেলের খাওয়া খরচ ও বই কেনার টাকা কোথা থেকে আসবে তা ভেবে পাচ্ছেন না আলিপুরদুয়ারের চণ্ডীরঝাড় গ্রামের কৃতী পড়ুয়া শরণদীপ দেবনাথ। কারণ সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় অবস্থা। বাবা চন্দন দেবনাথ হাটে হাটে ঘুরে সব্জি বিক্রি করেন। চন্দনবাবু জানিয়েছেন, তাঁর পক্ষে আর ছেলের ডাক্তারি পড়ার খরচ জোগাড় করা সম্ভব নয়। 

    শরণদীপের এই দূরবস্থার কথা জেনে এগিয়ে এসেছেন আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক আর বিমলা ও পুলিস সুপার ওয়াই রঘুবংশী। জেলাশাসক বলেন, জেলার কৃতী পড়ুয়া শরণদীপের অসহায় অবস্থার কথা জেনেছি। ওই পড়ুয়াকে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের আওতায় আনার কথা ভাবা হচ্ছে। পুলিস সুপার বলেন, শরণদীপকে কীভাবে সাহায্য করা যায় দেখা হচ্ছে। আর্থিক প্রতিকূলতার মধ্যেও শরণদীপ সর্বভারতীয় পরীক্ষা নিটে ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৬৩৭ নম্বর পান। কাউন্সেলিংয়ের পর ৩ সেপ্টেম্বর তিনি জানতে পারেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। এরপর কোনওরকমে ৬৫০০ টাকা যোগাড় করে ভর্তি হয়েছেন। পুজোর আগেই ক্লাস শুরু হবে। কিন্তু হস্টেলে খাওয়া ও মেডিকেল সায়েন্সের বই কেনার টাকা আসবে কোথা থেকে, তা ভেবেই ঘুম উড়েছে শরণদীপের। কারণ বাবার সেই সামর্থ্য নেই। সেই ভেবে মুষড়ে পড়েছেন তিনি। শরণদীপের ছোট ভাই দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। মা ইতিদেবী গৃহবধু। 
  • Link to this news (বর্তমান)