• বাঁধ কাটার এক সপ্তাহ পরেও জল-যন্ত্রণায় ভূতনিবাসী, ক্ষোভ
    বর্তমান | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: বাঁধ কাটার একসপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনও জলমগ্ন ভূতনি। বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িঘর এখনও ডুবে রয়েছে। এদিকে জলের তোড়ে দক্ষিণ চণ্ডীপুরের কাটা বাঁধ আরও চওড়া হচ্ছে। বাঁধের আরও ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। ভূতনির জল বের করে দিতে পূর্তদপ্তরের বরাদ্দ পাম্প মেশিন না চালানোয় ক্ষোভ বাড়ছে বাসিন্দাদের মধ্যে।

    কেশরপুরের বাঁধ ভেঙে প্রায় একমাস ধরে জলমগ্ন ভূতনির তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু এলাকা। লক্ষাধিক মানুষ জল-যন্ত্রণায়। বাড়িঘর ডুবে রয়েছে জমা জলে। সেই জমা জল বের করে দিতে গত শনিবার গভীর রাতে উত্তর চণ্ডীপুরের দুর্গতরা আর্থমুভার দিয়ে দক্ষিণ চণ্ডীপুরের স্লইসগেট সংলগ্ন বাঁধ কেটে ফেলেন। বাঁধের সেই কাটা অংশ দিয়ে জল বের হচ্ছে। তবে সাতদিন পেরিয়ে গেলেও পুরোপুরি জলমুক্ত হয়নি ভূতনি। এখনও আশানুরূপ জল বেরিয়ে না যাওয়ায় কিছুটা হতাশ উত্তর চণ্ডীপুরের বাসিন্দা সফিকুল ইসলাম। যদিও এলাকায় প্রায় দু’ফুট জল কমেছে। তবে জলমগ্ন ভূতনি কবে আগের অবস্থায় ফিরে আসে, সেদিকে তাকিয়ে সবাই। 

    ভূতনির অনেকের আশা, আগামী দু-একদিনের মধ্যে সমীরুদ্দিনটোলা, নাজিরুদ্দিন টোলা, আরসইয়া এলাকার জল সম্পূর্ণ নেমে যাবে। তবে বাকি অংশগুলির জল কমতে এখনও  সপ্তাহ দুয়েক লাগতে পারে।

    এদিকে গঙ্গা নদীর জলস্তর অবশ্য কমে হয়েছে ২৪.৭৫ মিটার। সাতদিন আগে যে বাঁধের মাত্র দশ মিটার কাটা হয়েছিল তা এখন দাঁড়িয়েছে পঞ্চাশ মিটারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যাতায়াতের সুবিধার্থে তৈরি করা লোহার সেতুও ভেঙে তলিয়ে গিয়েছে জলে। এখন যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। 

    স্থানীয়রা বলছেন, বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় থাকা বিদ্যুতের খুঁটি এখনও বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। দুর্ঘটনা এড়াতে পদক্ষেপ করছে বিদ্যুৎ দপ্তর।   ভূতনিতে অবশ্য পর্যাপ্ত সরকারি নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি ব্লক প্রশাসনের। বেসরকারি নৌকায় যাতায়াতের ভাড়াও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)