• ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত ASI-কে লুকিয়ে আদালতে পেশ করল পুলিশ
    এই সময় | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এই সময়, দুর্গাপুর: জাতীয় সড়ক ধরে গাড়িতে কলকাতায় আসার মুখে ছিনতাই হয়েছিল দিল্লির এক ব্যবসায়ীর এক কোটি এক লাখ টাকা। সেই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে পুলিশের এক এএসআইয়ের নাম জড়িয়েছে। অসীম চক্রবর্তী নামে ওই পুলিশ অফিসারকে গেপ্তার করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। তাঁর সঙ্গে ছিনতাইয়ে জড়িত সন্দেহে আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।শনিবার ধৃত ৬ জন সুভাষ শর্মা, মৃত্যুঞ্জয় সরকার, সুরজ কুমার, চন্দন চৌধুরী, মনোজ সিং ও অসীম চক্রবর্তীকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের মধ্যে চন্দন চৌধুরী সিআইডির কনস্টেবল ও মৃত্যুঞ্জয় সরকার বহিষ্কৃত পুলিশ কর্মী। বিচারক সুভাষ শর্মা ও মৃত্যুঞ্জয় সরকারকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত ও বাকিদের ৫ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    তবে ধৃত এই ৬ জন ছাড়াও ছিনতাইয়ের ঘটনায় আরও ৩ জন জড়িত আছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ৬ জন ধরা পড়লেও ছিনতাই হওয়া এক কোটি এক লাখ টাকা এখনও উদ্ধার হয়নি। ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, ‘ধৃতদের মধ্যে দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই চক্রের সঙ্গে আরও ৩ জন যুক্ত রয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ছিনতাইয়ের টাকা পলাতক ওই ৩ জনের কাছে রয়েছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।’

    আরজি করের ঘটনার পরে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মানুষ। তার পরেই ছিনতাইয়ের মতো ঘটনায় এক পুলিশ অফিসার জড়িত বলে অভিযোগ ওঠায় অনেকেই বিস্মিত। এ দিন অভিযুক্ত এএসআইকে আদালতে আনার সময়েও লুকোছাপা করতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। প্রথমে ৫ জনকে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়, সেখানে অসীম চক্রবর্তীকে রাখা হয়নি।

    সংবাদমাধ্যমের নজর এড়াতে অসীম চক্রবর্তীকে পরে অন্য একটি গাড়িতে নিয়ে আসা হয় আদালতে। পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয় আদালত চত্বর। অসীমের সঙ্গে কথা বলার কার্যত কোনও সুযোগই দেয়নি পুলিশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লির বাসিন্দা মুকেশ চাওলা নামে এক ব্যবসায়ী গাড়িতে আসানসোল থেকে কলকাতায় যাচ্ছিলেন। ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্গাপুরের পিয়ালা মন্দির সংলগ্ন এলাকায় একটি গাড়িতে কয়েকজন এসে ব্যবসায়ী মুকেশ চাওলার গাড়ি আটকায়। সেই গাড়ি থেকে নেমে আসে কয়েকজন যুবক।

    নিজেদের ক্রাইম ব্রাঞ্চের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে তল্লাশি শুরু করে তারা। এর পরেই ব্যবসায়ীর কাছে থাকা বিপুল অঙ্কের টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই যুবকরা। পরে দুর্গাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে এসে এএসআই অসীম চক্রবর্তীকে শনাক্ত করেন ওই ব্যবসায়ী৷ অসীমকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
  • Link to this news (এই সময়)