এবং শুধু যে তা-ই করতেন তা নয়, এর পাশাপাশি তিনি তাঁর নিজস্ব বর্গের বন্ধুবান্ধবদের হাসপাতাল-সংক্রান্ত নানা কনট্র্যাক্টও পাইয়ে দিতেন। সেটা যেভাবে করতেন তাতে হাসপাতালের রুলস অ্যান্ড রেগুলেশন নিয়মিত বিঘ্নিত হত।
জানা গিয়েছে, কোনও প্যানেল ধরে নিয়োগ হত না সন্দীপের আমলে। পুরোটাই তাঁর ইচ্ছেমতো হত। তিনি নিজের মতো করে পছন্দের স্টাফদের ইন্টারভিউতে ডাকতেন। আবার যখন তিনি হাউস স্টাফদের তালিকা বানাতেন, সেটাও করতেন সম্পূর্ণ ভাবে নিজের পছন্দ অনুযায়ী, কে কত যোগ্য, সে বিচার ধর্তব্যে আনতেন না।
কাছের মানুষকে পাইয়ে দেবার নীতিতেই আজীবন কাজ করে গিয়েছেন সন্দীপ। নিয়মনীতির তোয়াক্কা করেননি, কোনও সততার ধার ধারেননি। যা ইচ্ছে তাই করে গিয়েছেন। আর এই করতে-করতেই সিবিআইয়ের অভিযোগ, সন্দীপের এই স্বেচ্ছাচারিতার হাত ধরেই আরজি করকে কেন্দ্র করে একটা ক্রিমিনাল নেক্সাস তৈরি হয়ে গিয়েছিল। যে আঁতাঁত আসলে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের স্বার্থের পরিপন্থী হয়ে গিয়েছিল। এবং তা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ক্ষতিই ঘটাচ্ছিল। ক্ষতি হচ্ছিল আরজি করেরও।