• ‘আজ প্রমাণ হল যে কোনও সুবিবেচক মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে সহবৎ করতে পারেন না’
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • প্রামাণ হল কোনও সুবিবেচক মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে থাকতে পারেন না। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে জহর সরকারের ইস্তফা ঘোষণার পর এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া জানালেন রাজ্যসভায় বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। রবিবার সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, জহরবাবু কতদিন তৃণমূলের সঙ্গে থাকতে পারবেন সেব্যাপারে আমার আশঙ্কার কথা আগেই ওনাকে জানিয়েছিলাম।

    বিকাশবাবু বলেন, যে দিন উনি তৃণমূলের টিকিটে রাজ্যসভার প্রার্থী হয়েছিলেন সেদিনই আমার মনে শংকা ছিল যে এরকম একজন রুচিশীল, বুদ্ধিমান মানুষ কী করে তৃণমূলের সঙ্গে সহবৎ করবেন। আমি এই আশঙ্কা ওর কাছে প্রকাশও করেছিলাম। আজ প্রমাণ হল যে কোনও সুবিবেচক মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে সহবৎ করতে পারেন না। জহর সরকারকে তাঁর সিদ্ধান্তের জন্য অভিনন্দন।

    ২০২১ সালের ৪ অগাস্ট রাজ্যসভার সদস্য হিসাবে শপথ নেন জহর সরকার। দীনেশ ত্রিবেদীর আগাম ইস্তফায় খালি হওয়া আসনে তাঁকে প্রার্থী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরেন্দ্র মোদীর কট্টর বিরোধী বলে পরিচিত জহর সরকারের সাংসদ পদের মেয়াদ ১ বছর হতে না হতেই রাজ্যে প্রকাশ্যে আসে শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতি। তৃণমূলের মহাসচিব তথা মমতা মন্ত্রিসভার সেকেন্ড ইন কম্যান্ড পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ২০২২ সালের ২৩ জুলাই গ্রেফতার করে ইডি।

    এর পরও ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন জহর সরকার। তিনি জানিয়েছিলেন, যে ভাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী সম্পর্কে তথ্য উঠে আসছে ও তাঁর ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের পর বন্ধুরা তাঁকে প্রশ্ন করছেন, ‘তোর কাছেও টাকা এসেছে না কি?’ তবে সেবার জহর সরকারকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে শেষ পর্যন্ত নিরস্ত করতে পেরেছিল তৃণমূল।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)