মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, তবু ইস্তফার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা নয় জহরের
এই সময় | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শুধু সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা নয়, রবিবার রাজনৈতিক সফরেও ইতি টানার কথা ঘোষণা করেছেন জহর সরকার। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছেন তিনি। জানিয়েছেন, নিজের সিদ্ধান্তের কথা। সূত্রের খবর, জহর সরকারকে ফোন করে পদত্যাগ পত্র ফিরিয়ে নিতে বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু সবিনয়ে তা প্রত্যাখান করেন প্রাক্তন আমলা। সূত্রের খবর, রাজনৈতিক পরিসরে তিনি আর ফিরতে চান না। তবে ব্যক্তিগতভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন বলেও জানিয়েছেন।এ প্রসঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও জহর সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে, তিনি শীঘ্রই দিল্লি যাবেন এবং সেখানে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের হাতে তুলে দেবেন নিজের ইস্তফাপত্র।
জহর সরকারের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরেই তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, 'ওঁর সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছি না। শীর্ষ নেতৃত্ব এর বিবেচনা করুক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁর যে শ্রদ্ধার সম্পর্ক তা তিনি ছিন্ন করছেন না।'
উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া চিঠিতে আরজি করের ঘটনা প্রসঙ্গে জহর সরকার লেখেন, 'আমার বিশ্বাস এই আন্দোলনে পথে নামা মানুষেরা অরাজনৈতিক এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই প্রতিবাদ করছেন। অতএব রাজনৈতিক তকমা লাগিয়ে এই আন্দোলনকে প্রতিরোধ করা সমীচীন হবে না।'
প্রসঙ্গত,এই অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার অতীতে একাধিক মোদী সরকারের বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছিলেন। দূরদর্শনের লোগোর রঙে গেরুয়া ছোঁয়া লাগা নিয়ে তিনি ফুঁসে উঠেছিলেন। আরজি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে তাঁর সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা তথা রাজনীতির মঞ্চ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত যে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।