মেয়ের বিচার চেয়ে জাগবেন রাত, ধর্মতলার মঞ্চে নির্যাতিতার পরিবার
প্রতিদিন | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
অর্ণব দাস, বারাকপুর: এক মেয়েকে হারিয়েছেন। কিন্তু পাশে এসে দাঁড়িয়েছে হাজার হাজার মেয়ে, লক্ষ লক্ষ মানুষ। শোকের সাগরে এটুকুই যা প্রাপ্তি। সোদপুরের সন্তানহারা পরিবার সেটুকু শক্তি নিয়েই মেয়ের বিচারের দাবিতে উঠে দাঁড়াচ্ছেন। সুর চড়াচ্ছেন। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আর জি কর মামলার শুনানি। তার আগে রবিবার ‘রাত দখলে’র ডাক দিয়েছে নাগরিক সমাজ। সুবিচারের দাবিতে চাপ বাড়াতে এই কর্মসূচি। আর সেই ‘রাত দখলে’ এবার শামিল হচ্ছে নির্যাতিতা তরুণী চিকিৎসকের পরিবার। রবিবার দুপুরে তাঁরা ধর্মতলার দিকে রওনা দিয়েছেন। বলছেন, কষ্ট তো আছেই, কিন্তু অনেক মানুষ তো পাশে আছেন।
আর জি কর কাণ্ড সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে দিয়েছে হাহাকার, যন্ত্রণা, অসহায়তা। কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনার সুবিচার না পাওয়া পর্যন্ত স্বস্তি ফিরবে না কারও। আর তাই দ্রুত দোষীর ফাঁসির দাবিতে সুর চড়ছে দিন দিন। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির আগে, আজ রবিবার সেই চাপ বাড়ানোর দিন। রাজপথে আর ফের ‘রাত দখল’ হবে। শিলিগুড়িতে সোমবার ‘ভোর দখল’। এ একেবারে প্রত্যক্ষ প্রতিবাদ। জনতার দাবিদাওয়া, চাহিদা বোঝানোর সময় এটা। আর সেই প্রতিবাদে এবার সরাসরি শামিল হচ্ছেন নির্যাতিতার মা-বাবা-কাকিমা। রবিবার দুপুরে বাড়ি থেকে বেরনোর আগে তাঁরা জানালেন, এনআরএসের চিকিৎসকদের মিছিলে হাঁটবেন তাঁরা। সেই মিছিল পৌঁছবে ধর্মতলায়। সেখানেই রাতভর প্রতিবাদ।
সুপ্রিম কোর্টে গত ৫ তারিখ শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে তা পিছিয়ে গিয়েছে। নতুন দিন ৯ সেপ্টেম্বর। সেদিন সুবিচারের দিকে কয়েক ধাপ এগনো হবে বলে আশাবাদী মা-বাবা। বলছেন, ”আশা করছি, ইতিবাচক কিছু পাব। আমাদের কষ্ট তো আছেই। তবে এত মানুষ পাশে আছেন, সেটা আমাদের বড় শক্তি।”
রবিবার বিকেলে এনআরএস হাসপাতাল থেকে কালো বেলুন হাতে প্রতিবাদ মিছিলে নেমেছেন চিকিৎসকরা। সেই মিছিলে অংশ নেবেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। ডাক্তারদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের মেয়ের জন্য পথে নেমেছেন এত এত মানুষ! বিচার আর কতটা দূরে? জনতার ভিড়ে হাঁটতে হাঁটতে সেকথাই হয়ত ভাবছেন আপনজনরা।