এই সময়: প্রতিবাদে রাজপথে রিকশা চালকরাও। বিশ্বের দরবারে কলকাতাকে চেনাতে যে সব আইকন ব্যবহার হয়, তার মধ্যে অবশ্যই পড়ে হাতে টানা রিকশা। আরজি করের নির্যাতিতার ন্যায় বিচার চেয়ে সেই রিকশা চালকরাও এ বার রবিবার পথে নামলেন। রিকশা চালকদের এমন মিছিল আগে কবে দেখেছে কলকাতা, তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না।পড়শি বাংলাদেশে মাস খানেক আগে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনে এমন দৃশ্য অবশ্য দেখা গিয়েছিল। আরজি করের আবহে বাম ছাত্র-যুবদের উদ্যোগে অবশ্য সেই বাংলাদেশের চিত্রই যেন রিক্রিয়েট হলো তিলোত্তমার শহরে।
রবিবার হেদুয়া পার্ক সংলগ্ন বিধান সরণির সামনে জমায়েত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন রিকশা চালক। যদিও তাঁদের কেউ কেউ জমায়েতে সামিল হওয়ার আগে জানতেনই না কী জন্য তাঁদের আসতে বলা হয়েছে। মিছিলে ছিলেন আদতে বিহারের বাসিন্দা পেশায় রিকশা চালক মুসাফির যাদব। কী চান তিনি?
মুসাফির বলেন, ‘হমে জাস্টিস চাহিয়ে!’ কী নিয়ে জাস্টিস? সে প্রশ্নের অবশ্য কোনও উত্তর দেননি তিনি। পাশেই ছিলেন হীরালাল নামে অন্য একজন। তাঁর বক্তব্য, ‘আমরা মদত (সাহায্য) করতে এসেছি।’
ছিলেন বিহারেরই আর এক বাসিন্দা কাজের সূত্রে শ্যামবাজারে থাকা অশোক পাসোয়ান। তাঁর কথায়, ‘আমি রূপবাণী সিনেমার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম। আমাকে বলা হলো, চলুন র্যালি আছে। আমি চলে এলাম। এখানে এসে সব শুনলাম। মুঝে ভি ইনসাফ চাহিয়ে।’
গত ৩০ বছর ধরে কলকাতায় রিকশা চালান প্রেম যাদব। তাঁর কথায়, ‘আমার স্ত্রী, পুত্রবধূ সকলেই আছে। কলকাতায় কখনও মনে হয়নি যে নিরাপত্তা নেই। কিন্তু দেখুন এটা কী ঘটে গেল! আমরা তো ভাবতেই পারছি না, এমন একটা ঘটনা কী ভাবে কলকাতায় ঘটে গেল।’ মিছিল শেষ হয় কলেজ স্ট্রিটে। সেখানে এক রিকশা চালক বলেন, ‘আমরা বিচার চাই। যতক্ষণ না বিচার হচ্ছে। ততক্ষণ পর্যন্ত এই র্যালি চলবে।’