আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নৈহাটিতে রবিবার রাতে চলছিল ‘রাত দখল’ কর্মসূচি। প্রতিবাদের মাঝেই হামলার অভিযোগ উঠল একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীদের দাবি, হঠাৎ মিছিলে কয়েকজন দুষ্কৃতী প্রবেশ করে হামলা চালায়। মিছিল করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ওঠে। মাইকের তার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। প্রতিবাদে সামিল মহিলাদের উপরেও আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ।জানা গিয়েছে, নৈহাটিতে এদিন নরেন্দ্র বিদ্যানিকেতন-সহ স্থানীয় কয়েকটি বিদ্যালয়ের প্রাক্তনীরা প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেছিলেন। অভিযোগ, মিছিল যখন রামকৃষ্ণ মোড়ে প্রবেশ করে তখন দুষ্কৃতীরা ওই মিছিলে হামলা চালায়। এমনকী প্রতিবাদীদের মারধর করা হয় বলেও জানা গিয়েছে। প্রতিবাদীদের ব্যবহার করা টোটো আটকে দিয়ে রীতিমতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয় এলাকায়।
মিছিল হলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ ছিল না বলে অভিযোগ প্রতিবাদীদের। প্রতিবাদে সামিল শিক্ষকদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের মধ্যে মহিলাও ছিল বলে জানাচ্ছেন অনেকেই। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর কাণ্ডের শুনানি রয়েছে। তার আগেই প্রতিবাদীদের আন্দোলনের মোড় ঘোরাতে দুষ্কৃতীদের এমন হামলা বলে মনে করছেন অনেকে। বিচারের দাবিতে চলা এই প্রতিবাদ মিছিলে কেন হঠাৎ করে হামলা চালানো হলো তা এখনও স্পষ্ট নয়।
গত ১৪ অগস্ট স্বাধীনতার দিবসের ঠিক আগের দিন রাতে কলকাতা শহরে প্রথম ‘রাতদখল’-এর ডাক দিয়েছিলেন মহিলারা। সেই ডাক কলকাতার গণ্ডি ছাড়িয়ে সঞ্চারিত হয়েছিল রাজ্যের একাধিক জেলায়। বহু মানুষ মধ্যরাতে পথে নেমেছিলেন, নিজের মতো করে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২৫ দিনের মাথায় আবার সেই ডাকে পথে নেমেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। রাতের দখল নিলেন মহিলারা। উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটিতেও প্রতিবাদে সামিল হন বহু মানুষ। সেখানে এরকম আক্রমণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সকলেই। কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশকে খুঁজে বের করার আবেদন জানানো হয়েছে। যদিও, এদিন পুলিশকে ঘিরে ধরেও বিক্ষোভ দেখান প্রতিবাদীরা।