• দুর্গাপুরের জঙ্গলে ভারতীয় ধূসর নেকড়েকে বাঁচাতে বনদপ্তরের উদ্যোগ
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: দুর্গাপুর ডিভিশনের মাধাইগঞ্জ ও কাঁটাবেড়িয়ার জঙ্গলে পাওয়া যায় ভারতীয় ধূসর নেকড়ে (ইন্ডিয়ান গ্রে উলফ)। এই প্রজাতির নেকড়ের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। তাই এই নেকড়েকে বাঁচাতে দুর্গাপুর ডিভিশনে প্রথম ‘প্রোটেক্টেড এরিয়া নেটওয়ার্ক’ গড়তে উদ্যোগী হয়েছে বনদপ্তর।

    ন্যাশনাল পার্ক, ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারি, কনজার্ভেশন রির্জাভ ফরেস্ট, কমিউনিটি রিজার্ভ ফরেস্টকে ‘প্রোটেকটেড এরিয়া নেটওয়ার্ক’ শ্রেণিতে ফেলা হয়। সেই শ্রেণিতে এবার ঠাঁ‌ই পেতে চলেছে দুর্গাপুর ডিভিশনের মাধাইগঞ্জ, কাঁটাবেড়িয়ার জঙ্গল। মূলত এই জঙ্গলেই ভারতীয় ধূসর নেকড়ে পাওয়া যায়।

    বর্তমানে দেশের বাঘের সংখ্যার চেয়ে এই নেকড়ের সংখ্যা কমে গিয়েছে। তবে খনি অঞ্চলের জঙ্গলে সপরিবারে এই নেকড়ের সন্ধান মিলেছে। তারপরই একটি গবেষণা সংস্থার সাহায্য নিয়ে এই জঙ্গলে নজরদারি শুরু করে বনদপ্তর। ট্র্যাপ ক্যামেরাও বসানো হয়। তাতে এই নেকড়ের নানা ছবি ধরা পড়েছে। এরপরই বনদপ্তর এই জঙ্গলে ‘প্রোটেক্টেড এরিয়া নেটওয়ার্ক’ গড়তে উদ্যোগী হয়।বন দপ্তর জানিয়েছে, তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে নেকড়ের পাশাপাশি এই জঙ্গলের ময়ুর, বনশিয়াল, খরগোশ সহ নানা বন্যপ্রাণী নিশ্চিন্তে থাকতে পারবে। তবে এই প্রকল্পে বাধা জমিজট। যে এলাকা ঘিরে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, সেখানে বনদপ্তরের হিসেব অনুযায়ী তাদের ১০০ হেক্টর জমি রয়েছে। কিন্তু দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের বিএলএলআরও অফিসের নথিতে অন্য ছবি ধরা পড়েছে। বনদপ্তরের কিছু জমি সেখানে অন্য নামে রেকর্ড রয়েছে। বনদপ্তর নিজেদের নথিপত্র জমা করে জমির রেকর্ড তাদের নামে করার আর্জি জানিয়েছে। যাতে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে কোনও বাধা না থাকে।

    ডিএফও অনুপম খান বলেন, ভারতীয় ধূসর নেকড়ে রক্ষা করতে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। ১০০ হেক্টর জমির মধ্যে কিছু জমির নথি ঠিক হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি প্রোটেক্টেড এরিয়া নেটওয়ার্ক গড়তে পদক্ষেপ করা যাবে।
  • Link to this news (বর্তমান)