• নবদ্বীপের মুকুন্দপুর বাজারে ছাউনি না থাকায় ভোগান্তি
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাযা, নবদ্বীপ: খোলা আকাশের নীচে দিনের পর দিন সব্জি বাজার বসছে। নবদ্বীপ শহর লাগোয়া মুকুন্দপুরে ভোর চারটে থেকে এই বাজার বসে। কিন্তু এখানে কোনও শেড না থাকায় কৃষিপণ্য বিক্রি করতে আসা কয়েক হাজার চাষিকে ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে। ব্যবসায়ী ও চাষিরা অবিলম্বে বাজারে শেড তৈরির দাবি তুলেছেন।

    নবদ্বীপ ব্লকের মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের মুকুন্দপুরে এই সব্জি বাজার রয়েছে। স্থানীয় মুকুন্দপুর বারোয়ারি সব্জি বাজার উন্নয়ন কমিটি এর দেখভাল করে। এখানে পৌনে দু’বিঘা জমির উপর ১৭টি আড়ত রয়েছে। রোজ দূরদূরান্ত থেকে সাইকেল, মোটরবাইক, টোটো বা ভ্যানরিকশ করে কয়েকহাজার চাষি তাঁদের উৎপাদিত ফসল এখানে বিক্রি করতে আসেন। তাঁরা মাজদিয়া-পানশিলা পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকা, কোতোয়ালি থানার রুইপুকুর পঞ্চায়েতের ব্রহ্মনগর, ঠাকুরতলা, ভালুকার আনন্দবাস, চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগরের গৌরনগর, মহিশুরা সহ নানা এলাকার বাসিন্দা। ভোর চারটে থেকে সকাল সাড়ে আটটা অবধি চাষিরা এখানে কৃষিপণ্য বিক্রি করেন। কিন্তু বাজারে আড়তদারদের জন্য অস্থায়ী দোকান করে দেওয়া হলেও চাষিদের জন্য কোনও শেড নেই। ফলে বৃষ্টি এলে তাঁদের ভেজা ছাড়া উপায় থাকে না। চাষিদের দীর্ঘদিনের দাবি, বাজার কমিটি শেড তৈরি করে দিক।

    রুইপুকুর পঞ্চায়েতের ব্রহ্মনগরের চাষি বিজয় মণ্ডল বলেন, হঠাৎ বৃষ্টি চলে এলে কাকভেজা হয়ে ফিরতে হয়। নিজেদের পণ্য ছেড়ে তো যাওয়া যায় না। আশপাশে বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে দাঁড়ানোর তেমন জায়গাও নেই।

    মুকুন্দপুর বারোয়ারি সব্জি বাজার উন্নয়ন কমিটির সম্পাদক তারক গোস্বামী বলেন, প্রতি বছর এই বাজার ইজারা দেওয়া হয়। এখানে ১৭টি সব্জি ও ছয়টি মাছের আড়ত রয়েছে। কিন্তু বাজার কমিটির আলাদা কোনও আয় নেই। ইজারা বাবদ যে টাকা পাওয়া যায়, তা দিয়ে বাজার দেখভালের দায়িত্বে থাকা দুই কর্মীকে বেতন দিতে হয়। এছাড়া, বাজার পরিচ্ছন্ন রাখা, দরকার পড়লে কমিটির খরচে দোকান মেরামত করার দায়িত্ব রয়েছে। শেড তৈরির বিষয়ে আমরা এর আগে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু তাঁদের তরফে তেমন সাড়া মেলেনি।

    তিনি জানান, এটি উন্নয়ন কমিটির বাজার হওয়ায় সরকারের কাছে শেড তৈরির আবেদন জানানো হয়নি। কারণ সরকার বা অন্য কারও সাহায্য নিলে কোনও না কোনও শর্ত আরোপিত হতে পারে। আগামী দিনে বাজারে শেড তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)