• আদিবাসী মহল্লায় বাড়ির দেওয়ালে অলচিকি বর্ণ চেনাচ্ছেন সঞ্জয় টুডু 
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, করণদিঘি: সাঁওতালি ভাষার লিপি অলিচিকি চেনাতে আদিবাসী পাড়ায় চলছে দেওয়াল লিখন। আদিবাসী সমাজের নব প্রজন্মকে সাঁওতালি ভাষার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে অলচিকি হরফে স্বরবর্ণ, ব্যঞ্জনবর্ণ লেখা হচ্ছে। আদিবাসী মহল্লায় দেওয়ালে দেওয়ালে এই ভাষার বর্ণ লিখছেন করণদিঘি ব্লকের নাকোল গ্রামের শিক্ষক সঞ্জয় টুডু। একশো বছর হল অলচিকি লিপি আবিষ্কারের। কিন্তু এখনও এরাজ্যে  সাঁওতালি ভাষায় পাঠদানের পরিকাঠামো গড়ে ওঠেনি বলে ক্ষোভ বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের। তাদের অভিযোগ, উত্তর দিনাজপুর জেলার আদিবাসী অধ্যুষিত প্রতিটি গ্রামে সাঁওতালি ভাষায় প্রাথমিক স্কুল নেই। অনেকেই প্রাথমিকস্তর থেকে সাঁওতালি ভাষায় পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে না। করণদিঘি ব্লকের বালিয়া ও ক্ষেমপুর আদিবাসী গ্রামে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে। তবে অলচিকি লিপিতে সাঁওতালি ভাষায় পঠনপাঠনে নেই কোনও উন্নত পরিকাঠামো। 

    এই পরিস্থিতিতে খুদে ছেলেমেয়েদের সাঁওতালি ভাষা শেখাতে এগিয়ে এসেছে আদিবাসী যুব ও সামাজিক সংগঠন। পাশে দাঁড়িয়েছেন দমদমা হাইস্কুলের ইংরেজি শিক্ষক সঞ্জয় টুডু। তাঁর আক্ষেপ, বিভিন্ন জায়গায় আদিবাসী সমাজ অলচিকি হরফ চেনেই না। 

    তাই কয়েকটি যুব সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে সঞ্জয় বালিয়া, নাকোল ইত্যাদি আদিবাসী পাড়ায় দেওয়ালে দেওয়ালে অলচিকি বর্ণে অ, আ, ক, খ লিখে দিচ্ছেন। একাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সুদীপ টুডু, দেবলাল মুর্মু, বিকাশ মুর্মু, বলাই কিস্কুদের মতো আরও অনেকে। নাকোল আদিবাসী একতা সোসাইটির সদস্য দেবলাল মুর্মু জানিয়েছেন, জেলায় ৯ টি সাঁওতালি ভাষার প্রাথমিক স্কুল থাকলেও এখনও পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর চালু হয়নি। প্রাথমিক স্কুলগুলিতেও স্থায়ী শিক্ষক নেই। ফলে ঠিকমতো পড়াশোনা হয় না। তাই নিজেরাই দেওয়াল লিখনের মাধ্যমে প্রাথমিকস্তরে অলচিকি বর্ণ চেনানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। - সাঁওতালি ভাষার লিপি অলিচিকি চেনাতে আদিবাসী পাড়ায় চলছে দেওয়াল লিখন।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)