• যানজট নিয়ন্ত্রণে ‘শাটল টোটো’, রুটের ভাবনা
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: পুরসভার ঘোষণা অনুযায়ী সোমবারই টোটো রেজিস্ট্রেশনের কুপন দেওয়ার শেষ দিন। আপাতত পাঁচ হাজার টোটোকে শহরে চলার জন্য রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনছে পুরসভা। তবে গ্রাম ও শহরের বিবাদ মেটাতে গিয়ে পরে টোটোর সংখ্যা বাড়লে যানজট নিয়ন্ত্রণে চালু হতে পারে ‘শাটল টোটো’। এজন্য পুরসভা ও পুলিস প্রশাসন মিলে টোটোর রুট তৈরির চিন্তাভাবনা করছে। 

    শাটল টোটোর ভাবনাটি ঠিক কেমন?

    জেলা পুলিসের এক কর্তা বলেন, ধরা যাক, গ্রাম থেকে যেসব টোটো আসছে, তারা শহরে ঢোকার এন্ট্রি পয়েন্ট পর্যন্ত আসবে। তারপর সেখান থেকে শহরের টোটো যাত্রীদের পৌঁছে দেবে গন্তব্যে। শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এই নিয়ম মানতে হবে। ব্যস্ততম রাস্তায় যাতে একসঙ্গে বেশি টোটো ঢুকে পড়তে না পারে, সেজন্য রুট তৈরির চেষ্টা চলছে।

    যদিও নিত্যযাত্রীদের বক্তব্য, এমনিতেই শহরে ন্যূনতম টোটো ভাড়া দশ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা হয়েছে। দু’কিমি পর থেকে প্রতি কিমিতে ১৫ টাকার উপরে পাঁচ টাকা করে ভাড়া বাড়বে। এই পরিস্থিতিতে গন্তব্যে যেতে গ্রাম-শহরের টোটোয় বারবার চড়তে হলে কয়েকগুণ ভাড়া বেশি লাগবে। এতে যাত্রী হয়রানি বাড়বে।

    জেলা পুলিস সুপার খণ্ডবাহালে উমেশ গণপতের বক্তব্য, জলপাইগুড়ি শহরকে যানজট মুক্ত করতে চাইলে টোটো নিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে রুট করতে হবে। সব টোটো যদি দিনের ব্যস্ততম সময়ে দিনবাজারের রাস্তায় ঢোকে, তাহলে মানুষজন যাতায়াত করবেন কী করে?

    পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, আগে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ হোক। তারপর শহরে টোটোর কী পরিস্থিতি দাঁড়ায়, সেটা বোঝা যাবে। টোটো নিয়ে আরও কিছু ভাবনা আছে। তা বোর্ড মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    এই ব্যাপারে আইএনটিটিইউসি’র জলপাইগুড়ি টাউন ব্লক সভাপতি পুণ্যব্রত মিত্র বলেন, টোটোর রুট ঠিক করার প্রস্তাব খুবই ভালো। এরসঙ্গে আমাদের দাবি, টোটো চলার জন্য ওয়ানওয়ে করে দেওয়া হোক। তাছাড়া টোটো দাঁড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট স্ট্যান্ড করা হলে যানজট কমবে। শাটল পদ্ধতি চালু করলে যাত্রীদের ব্রেক জার্নি বা ভাড়ার বিষয়টি রয়েছে। এ নিয়ে আপত্তি উঠতে পারে। তবে করা গেলে ভালো হবে।’

    -নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)