• হিরদানপুরে এবার প্রথম পুজো, উমাকে বরণ করবেন গ্রামবাসী
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • উজির আলি, চাঁচল: প্রতীক্ষার আর ৩০ দিন। বাঙালির ঘরে উমা আসছে। চারিদিকে এই মুহূর্তে চলছে জোর প্রস্তুতি। মালদহের চাঁচল ১ ব্লকের ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হিরদানপুরের মানুষের কাছেও এবারের পুজোর আনন্দটা যেন শতগুণ বেশি। কারণ এই প্রথম এই গ্রামে দেবীর আগমন ঘটবে। গ্রামবাসীর উদ্যোগে রবীন্দ্র স্মৃতি সংসদ ক্লাবের পরিচালনায় রবিবার থেকেই এই গ্রামে প্রথম দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। খুঁটিপুজোর মধ্যদিয়ে ঢাকে কাঠি পড়ে গেল। এদিন খুঁটিপুজো উপলক্ষ্যে গ্রামজুড়ে কার্যত উৎসবের আমেজ ছিল। খুঁটিপুজোর মধ্য দিয়ে শুরু হল প্যান্ডেলের কাজ। 

    গ্রামের মহিলারা শঙ্খ বাজিয়ে যেন উমাকে আমন্ত্রণ জানালেন এদিন। পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ সুশান্ত সরকার বলেন, এবার প্রথমবার পুজো। তাই  বাজেট কম। খরচ ২ লক্ষ টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। তবে মায়ের আরাধনায় কোনও খামতি থাকবে না।

    সভাপতি ভাস্কর থোকদার ও সহ সভাপতি বাপি মজুমদারের কথায়, গ্রামে ৫০টি পরিবারের বাস। বেশিরভাগই কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে আগে দুর্গাপুজো হয়নি। 

    প্রথমবার জমকালো আলোকসজ্জায় মণ্ডপ সাজিয়ে তোলা হবে। প্রতিমা গড়ছেন মহানন্দপুরের মৃৎশিল্পী ঝাবু মণ্ডল। প্যান্ডেলের দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দুয়া গ্রামের ঠাকুর দাস। স্থানীয় বধূ বীণা মজুমদার বলেন,আমরা কোনওদিনই মাকে অঞ্জলি দিইনি। এবার বিজয়া দশমীতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠব সকলে মিলে। আরেক বধূ বন্দনা মজুমদারের মন্তব্য, গ্রাম থেকে ১৫ কিমি দূরে চাঁচল সদরে প্রতিবছর দুর্গা মাকে দর্শন করতে যেতাম। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে সেটাও হত না। এবার গ্রামেই মায়ের দর্শন পাব ভেবে ভীষণ খুশি আমরা। পুজো কমিটির সম্পাদক প্রশান্ত সরকার বলেন, ষষ্ঠী থেকে মণ্ডপে পুজো শুরু হবে। পুজোর দিনগুলিতে সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠান থাকছে। নিরাপত্তার জন্য থানায় আবেদন জানিয়েছি। পুজোর আয়োজনে চাঁচলের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ বিশেষভাবে সাহায্য ও উৎসাহ জোগাচ্ছেন। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)