• পুজোর আগেই রাজবংশী অ্যাকাডেমি ভবনের নীচতলা চালু হওয়ার সম্ভাবনা
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে রাজবংশী কালচারাল অ্যাকাডেমির ভবন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। দুর্গাপুজোর আগে ওই ভবন চালু হতে পারে। এখানে রাজবংশীদের লুপ্তপ্রায় বিষহরা, চোরচুর্নী, দোতরাডাঙা ও কুষাণ সহ বিভিন্ন পালাটিয়া গানের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ভাওয়াইয়া গানেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়া দোতরা, বাঁশি, খমক, একতারা ও ঢোল বাজানোর প্রশিক্ষণ মিলবে এই অ্যাকাডেমিতে।

    আলিপুরদুয়ার জেলা শহরের পাশে বীরপাড়া চোপথির কাছে কয়েক বছর আগে এই রাজবংশী কালচারাল অ্যাকাডেমির ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। দুই তলা ভবনটির নীচতলার কাজ প্রায় শেষের পথে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর আগেই এই নীচতলাতেই চালু হয়ে যেতে পারে প্রশিক্ষণের কাজ। 

    এই ভবন তৈরির জন্য রাজবংশী কালচারাল বোর্ড থেকে ৮৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। নির্মাণ কাজ করছে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ। তবে ভবন তৈরির কাজ একটু ঢিমেতালে চলায় ক্ষুব্ধ রাজবংশী কালচারাল বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

    বোর্ডের কার্যকরী কমিটির সদস্য তথা আলিপুরদুয়ার-১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি পীযূষকান্তি রায় বলেন, এতদিনে এই ভবন তৈরির কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। অত্যন্ত ঢিমেতালে কাজ চলার জন্য কাজ শেষ হতে দেরি হচ্ছে। তবে ভবনের নীচতলার কাজ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। পুজোর আগে নীচতলায় রাজবংশী কৃষ্টিকলার প্রশিক্ষণের কাজ শুরু করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

    আকাশবাণীর নিয়মিত ভাওয়াইয়া শিল্পী রীতা বর্মন বলেন, আমরা সবাই আলিপুরদুয়ারে ওই রাজবংশী কালচারাল অ্যাকাডেমির দিকে তাকিয়ে আছি। অ্যাকাডেমি চালু হলে উপকৃত হবে রাজবংশী কৃষ্টিকলার সঙ্গে যুক্ত লেখক শিল্পীরা। রাজবংশী পালাটিয়া গানের লেখক হেমন্ত বর্মন বলেন, প্রশিক্ষণ ও পরিকাঠামোর অভাবে রাজবংশীদের নতুন প্রজন্ম তাদের কৃষ্টিকলাকে ভুলতে বসেছে। আলিপুরদুয়ারে ওই রাজবংশী কালচারাল অ্যাকাডেমিকে আমরা সবাই স্বাগত জানাচ্ছি। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)