• ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১৩৬৭ স্পর্শকাতর অঞ্চলে যৌথ টহলদারি দুই দেশের
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: বাংলাদেশে অশান্তির আঁচ যাতে সীমান্তে না পড়ে তার জন্য আগেই নিরাপত্তা বাড়িয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সীমান্তের উপর নজরদারি রাখার জন্য মন্ত্রক থেকেই তৈরি করা হয়েছে বিএসএফের মনিটারিং কমিটিও। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছে বিএসএফের ইস্টার্ন কমান্ড। উপস্থিত ছিলেন ইস্টার্ন কমান্ডের এডিজি রবি গান্ধী। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের সঙ্গে বিজিবির সমন্বয় রয়েছে। এই অবস্থায় সীমান্তে যাতে কোনওরকম অশান্তি না হয়, তার জন্য ইস্টার্ন কমান্ডের অধীনে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয় ও মিজোরামে বাংলাদেশ সীমান্তের ১,৩৬৭টি স্পর্শকাতর অঞ্চলে যৌথ টহল সম্পন্ন করেছে দুই দেশ। ভারতের পারে বিএসএফ এবং বাংলাদেশের পারে বিজিবি একসঙ্গে টহল দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয় ও মিজোরামের উপর ভারত-বাংলাদেশের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটারের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৭৭ শতাংশ স্থল এবং ২৩ শতাংশ জল সীমান্ত। স্থল সীমান্তের বহু এলাকায় কোনও কাঁটাতার নেই। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আগেই বিএসএফ জওয়ানদের সংখ্যা বাড়িয়েছে। সীমান্ত অবশ্য শান্ত রয়েছে। কোনও পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সীমান্তের বিভিন্ন অঞ্চলে বিএসএফ এবং বিজিবির ৭২২টি বর্ডার মিটিংও সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের দিকে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সেই দেশের অনেক সংখ্যালঘু নাগরিকের বসবাস রয়েছে। তাঁরা যাতে সুরক্ষিত থাকেন, সেই ব্যাপারেও বিএসএফের পক্ষ থেকে বিজিবিকে জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে বাংলাদেশে যেসব ভারতীয় রয়েছেন, তাঁদের সুরক্ষার বিষয়টিও জানানো হয়েছে। ভারতের দিকে সীমান্তের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামবাসীদের নিয়েও বৈঠক করছে বিএসএফ। গত ১৫ দিনে এমন বৈঠক হয়েছে ৬১৪টি। সংশ্লিষ্ট পাঁচটি রাজ্যেই রুটিন মাফিক এই বৈঠক চলছে। সীমান্তে বসবাসকারী স্থানীয় নাগরিকদের কী কী করণীয়, সেই ব্যাপারে পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে গড়ে তোলা হচ্ছে সমন্বয়ও। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)