• তেলের টাকা না দিয়ে পালাতে গিয়ে পাম্পকর্মীকে পিষে দিল মালবাহী গাড়ি
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রানাঘাট: ফুল ট্যাঙ্ক তেল ভরে পালানোর সময় দুর্ঘটনা। পেট্রল পাম্পে কর্তব্যরত কর্মীকে পিষে দিল একটি মাঝারি মালবাহী গাড়ি। শনিবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে শান্তিপুর থানা এলাকার কন্দখোলায়। গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় পাম্প কর্মচারীর। তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিস। যদিও রবিবার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি তদন্তকারীরা। 

    রাত তখন প্রায় আড়াইটে। ঘটনাস্থল শান্তিপুরের কোন্দখোলা পেট্রল পাম্প। তেল নেওয়ার জন্য ঢোকে একটি মালবাহী ছোট ম্যাক্স গাড়ি। প্রত্যক্ষদর্শী কর্মচারীদের দাবি, চালক গাড়ি থেকে মুখ বাড়িয়ে বলেন ফুল ট্যাঙ্ক তেল ভরে দিতে। সেই সময়ে গাড়ির ভিতর চালক ছাড়াও আরও দুজন ছিল। এক পাম্প কর্মচারী গাড়িটির ট্যাঙ্ক ফুল করে দেন। যার বিল হয় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার টাকা। টাকা চাইতে গেলেই হঠাৎ জোরে টেনে গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয় চালক। পালানোর সময় গাড়িটির সামনে চলে আসেন বিশ্বজিৎ দাস (৩০) নামের ওই পেট্রল পাম্পের এক কর্মচারী। কিন্তু তাতেও গাড়ি না থামিয়ে ওই যুবককে ধাক্কা মেরে কৃষ্ণনগরের দিকে চম্পট দেয় গাড়িটি। সঙ্গে সঙ্গে সহকর্মীরা ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। আহত যুবককে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি পাঠানো হয় শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পাম্প মালিক অসীম পাল বলেন, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার টাকার তেল ভরেছিল গাড়িটি। প্রথম থেকেই তার কাছে টাকা চাওয়া হচ্ছিল। চালক বারবার দিচ্ছি দিচ্ছি করে দেরি করছিল। হঠাৎ জোরে টেনে গাড়িটি বেরিয়ে যায়। তখন আমার পাম্পের কর্মী বিশ্বজিৎকে পিষে দেয়। পাম্পে লাগানো সিসি ক্যামেরা আমরা দেখেছি। গাড়িটির পিছনে নম্বর প্লেট নেই। সামনে থাকলেও সেটি কাদায় ভর্তি। ফলে নম্বর বোঝা যাচ্ছে না। আমরা পুলিসকে জানিয়েছি। তাঁরা রাতেই ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। সকলের থেকে সমস্ত কিছু শুনেছেন। আধিকারিকরা তদন্ত করছেন বলে আমাদের জানানো হয়েছে। এদিকে, বিশ্বজিৎ এর মৃত্যুর খবর পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে তাঁর পরিবার। পাম্প থেকে কিছুটা দূরেই তাঁর বাড়ি। শনিবার নাইট ডিউটি ছিল তাঁর। পাম্পে বিশ্বজিৎ ছাড়াও ছিলেন তার অন্য সহকর্মীরা। দুর্ঘটনার পর থেকে আর খোঁজ মেলেনি গাড়িটির। যদিও শান্তিপুর থানার পুলিস ঘাতক গাড়িটির খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে জাতীয় সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ।
  • Link to this news (বর্তমান)