• রাজস্থানে মৃত শ্রমিকের পাশে দাঁড়াল সরকার, বাড়িতে মন্ত্রী ও জেলাশাসক
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: বিজেপি শাসিত রাজস্থানের জয়পুরে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুরের পরিযায়ী শ্রমিক মোতি আলিকে। তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার।

    রবিবার শেষকৃত্যের পর বাড়িতে শোকের পরিবেশ। তারমধ্যেই মোতির বাড়িতে সকাল সকাল হাজির হন মালদহের জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া,  রাজ্যের দুই প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন এবং সাবিনা ইয়াসমিন। মৃতের পরিবারকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকার চেক দেওয়া হয়। এছাড়া মৃতের স্ত্রীকে বিধবা ভাতা ও পাকা বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন জেলাশাসক ও দুই মন্ত্রী। ছয় ও চার বছরের দুই সন্তানকে কোলে বসিয়ে মৃতের স্ত্রী রৌশনা খাতুন অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান জেলাশাসকের কাছে। 

    শনিবার রাত এগারোটা নাগাদ মোতির কফিনবন্দি দেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে পৌঁছয় ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের মিসকিনপুরে। স্বামীর মৃতদেহ দেখে বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন স্ত্রী। রবিবার শেষকৃত্যের পর মিছিল এবং প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূল।  উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি আবদুর রহিম বক্সি, স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্য মার্জিনা খাতুন প্রমুখ। 

    পরিবারের দাবি, মোতি দীর্ঘ ২০ বছর রাজস্থানের জয়পুরে এক সোনার দোকানে কাজ করছিলেন। মালিকের অতি প্রিয়পাত্র হওয়ায় আক্রমণকারীদের ঈর্ষা হতো। সেজন্য গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে শোরুমের পিছনের একটি ঘরে বিহার, রাজস্থান ও ওড়িশার শ্রমিকরা খাওয়ার সময় বচসার পর মোতিকে বেধড়ক মারধর করে নাড়িভুঁড়ি ফাটিয়ে দেয়। দুই কিলোমিটার দূরে থাকতেন তার ভাই বাহারান আলি। রাতে তিনি মোতিকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। দু’দিন চিকিৎসা চলার পর অপারেশন করা হলে শুক্রবার মৃত্যু হয় মোতির। মৃতের স্ত্রী বলেন, স্বামী ছিল পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। বাস্তুভিটা ছাড়া এক ছটাক জমিও নেই। পাকা বাড়ি অর্ধেক করে বন্ধ রেখেছি টাকার অভাবে। ২০২৫ সালে কাজ শেষ করার কথা ছিল। দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে অথৈ জলে পড়লাম। প্রশাসন পাশে দাঁড়ানোয় এখন কিছুটা চিন্তা মুক্ত। স্বামীর খুনিদের কঠোর শাস্তির দাবি করছি। 
  • Link to this news (বর্তমান)