• ৯ আগস্ট ভোরে গাড়ি চালককে কেন ডেকেছিলেন সন্দীপ ঘোষ?
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের দিন ভোরে তদানীন্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ কেন গাড়ির চালককে ফোন করে আসতে বলেছিলেন, তাই নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।  তাহলে কি তিনি সকালেই তরুণীর দেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে গিয়েছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই ওই চালকের বয়ান রেকর্ড করেছে তারা। পাশাপাশি ঘটনার দিন নাইট ডিউটিতে থাকা নার্সদের বক্তব্যে বেশকিছু সূত্র মিলেছে বলে খবর। তাঁরা প্রথমে কিছু জানাতে অস্বীকার করলেও পরে মুখ খুলেছেন বলে জানা যাচ্ছে। 

    সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাক্তন অধ্যক্ষ দাবি করেছিলেন, সকাল দশটা নাগাদ তাঁকে ফোন করে ঘটনার কথা জানানো হয়। তারপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে আসতে আসতে ফোন করেন হাসপাতালের সুপার, ডেপুটি সুপার, টালা থানার ওসি সহ পদাধিকারীদের। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ আর জি কর পৌঁছে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা নেন। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে সরকারি গাড়ির চালক সিবিআইকে যে তথ্য দিয়েছেন, তার মধ্যে ফারাক রয়েছে। সূত্রের খবর, চালক তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, তাঁকে ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ফোন করা হয়। প্রাক্তন অধ্যক্ষ বলেছিলেন, তাঁকে পিক আপ করতে হবে। সেইমতো পৌঁছে চালক সন্দীপকে নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তাহলে প্রাক্তন অধ্যক্ষ কেন দশটার থিওরি নিয়ে এলেন, তার রহস্য কাটিয়ে উঠতে পারেননি তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই সিবিআই গাড়ির লগবুক বাজেয়াপ্ত করেছে।  তদন্তকারীরা মনে করছেন, এখানেই বড় কিছু লুকিয়ে রয়েছে। 

    বিভিন্ন মহল থেকে এতদিন বলা হচ্ছিল, সন্দীপ সকালেই জেনে যান তাঁরই হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার ধর্ষণ ও খুনের শিকার হয়েছেন। তারপর তিনি আর জি করে পৌঁছে গিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, তাঁর ফোনের কল লিস্ট ঘেঁটে তদন্তকারীরা জেনেছেন, ঘটনার দিন তিনি দশটার আগেই শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকা বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ডাক্তার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ সিনিয়র চিকিৎসকদের ফোন করেছিলেন। তারপর তাঁরা হাজির হন হাসপাতালে। সিবিআইয়ের অনুমান, তখনই পরিকল্পনা করা হয়, পুলিস আসার আগেই কীভাবে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে হবে।     
  • Link to this news (বর্তমান)