কন্যাশ্রী প্রকল্পে পড়াশোনার পর রূপশ্রীর অনুদানে বিয়ে
বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: মাত্র তিন বছর বয়সে হারিয়েছেন মাকে। বাবা পেশায় রিকশ চালক। অন্যের রিকশ চালান। কষ্ট করে মানুষ করেছেন মেয়েকে। পড়াশোনার খরচ অনেকটাই সামলে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্প। বার্ষিক বৃত্তির সঙ্গে পেয়েছেন এককালীন ২৫ হাজার টাকা অনুদানও। এবার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন রাজারহাটের ওই তরুণী। কিন্তু বিয়ের খরচের টাকা কোথায়? অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর রূপশ্রীর অনুদানে বিয়ে সম্পন্ন হচ্ছে তাঁর। দপ্তরে গিয়ে আবেদন জানিয়েছেন। খোঁজখবর নেওয়ার পর টাকা মঞ্জুরও হয়ে গিয়েছে। হাসি ফুটেছে হবু পাত্রীর মুখে।
বিধাননগর পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীর বাড়ি রাজারহাটের নারায়ণপুর থানা এলাকায়। এই জায়গা বিধাননগর পুরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। কন্যাশ্রী প্রকল্পের ‘কে-১’ এ বার্ষিক ভাতা পেয়েছিলেন। ১৮ বছর বয়স হওয়ার পর কন্যাশ্রী প্রকল্পের ‘কে-২’ তে এককালীন ২৫ হাজার টাকাও পান। তাতে পড়াশোনার সহায়তা হয়েছে। স্কুলও অনেক সাহায্য করেছিল। ২৭ অক্টোবর তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছে। পাত্র স্থানীয়। কীভাবে মেয়ের বিয়ের খরচ জোগাড় করবেন তা ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছিলেন না তাঁর বাবা। তারপর প্রতিবেশিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তখনই এক প্রতিবেশি ওই তরুণীকে জানান, পরিবারে আর্থিক অসঙ্গতি থাকলে রূপশ্রী প্রকল্পে অনুমান পাওয়া যায়।
তা শোনার পর ৩০ আগস্ট ওই তরুণী সল্টলেকে বিধাননগর পুরসভায় আসেন। পুরসভার রূপশ্রী প্রকল্পের দপ্তরে আবেদন জমা করেন। প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দেন। নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও আবেদন জমা পড়লে সরেজমিনে তদন্ত হয়।
এ ক্ষেত্রেও দপ্তরের কর্মীরা খোঁজ নিয়ে দেখেন, তরুণীর আর্থিক অবস্থা সত্যিই করুণ। এই দপ্তরের দায়িপ্তপ্রাপ্ত আধিকারিক অংশুমান ধর বলেন, ‘তদন্ত শেষে আমরা দ্রুত রিপোর্ট জমা দিয়েছিলাম। অনুমোদন আগেই মিলেছিল। সম্প্রতি ওই তরুণীর অ্যাকাউন্টে রূপশ্রী প্রকল্পের এককালীন ২৫ হাজার টাকা অনুদান জমা পড়ে গিয়েছে।’