স্টাফ রিপোর্টার: পুজোর আর একমাস বাকি। উৎসবের প্রস্তুতির মধ্যেই টানা চলছে আর জি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ। সেই আবহে আজ, সোমবার রাজ্যস্তরের প্রশাসনিক বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে সব দপ্তরের সচিব পর্যায়ের কর্তা উপস্থিত থাকবেন। মন্ত্রীদেরও বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের বিশেষ সচিব পদমর্যাদার আধিকারিকদেরও ওই বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে। ভারচুয়ালি থাকবেন জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনাররা।
আর জি কর কাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজ্যেজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি চলছে। চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। এই পরিস্থিতিতে এই পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দেবেন সে দিকে সবার নজর থাকবে। গত সপ্তাহেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন জানিয়ে দিয়েছিল, বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সব উচ্চপদস্থ অফিসারকে থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দপ্তরের থেকে রিপোর্ট নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়। ম্যারাথন নির্বাচন ও পরবর্তীতে ভারী বর্ষণ ও বন্যা পরিস্থিতির জন্য বহু প্রকল্পের কাজ থমকে। কোন প্রকল্প কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে, সব রিপোর্ট জমা দিতে হয়েছে সচিবদের। তার মধ্যেই শনিবার সরকারি কর্মীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তৃণমূল স্তর পর্যন্ত পরিষেবা পৌঁছনোর ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না বলেই একেবারে বিজ্ঞপ্তি জারি করলেন মুখ্যসচিব। যা পর্যালোচনা বৈঠকের প্রিলিউড বলেই মনে করা হচ্ছে।
মুখ্যসচিবের সই করা বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে প্রত্যেক দপ্তরের সচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, পুলিশ কমিশনার, ডিভিশনাল কমিশনার থেকে শুরু করে প্রত্যেক জেলাশাসককে। নির্দেশিকায় সাফ বলা হয়েছে, মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত চলা সাধারণ নির্বাচন এবং তার পরে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে প্রায় চার মাসে যথেষ্ট শ্লথগতিতে এগিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রকল্পের পরিষেবা প্রদানের কাজ। ফলে পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ থেকে শুরু করে কর্মশ্রী, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল সরবরাহ-সহ সমস্ত প্রকল্পের কাজে গতি আনার প্রয়োজন বলেই জানানো হয়েছে এই নির্দেশিকায়। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যে, অকারণে কাজে যোগ না দিলে সেটি সার্ভিস কন্ডাক্ট রুলের লঙ্ঘন বলেও ধরা হবে। মঙ্গলবার আবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক। আগের মন্ত্রিসভার বৈঠকে বেশ কিছু দপ্তরের খামতির উল্লেখ করে মন্ত্রী ও সচিবদের সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অপরাজিতা বিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।