• পুজোর আগেই ‘বউনি’, খুশি ঢাকিরা, শুরু মহড়া
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: দুর্গাপুজো শুরুর আগেই উৎসবে মেতে উঠেছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামের একশো শতাংশ ঢাকিই ‘বউনি’ পেয়ে গিয়েছেন। এবার ঢাকিদের একটি দল যাচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে। ইতিমধ্যেই পুজোতে বাড়তি আয়ের আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন ঢাকিরা।  

    মেদিনীপুর সদর ব্লকের শিরোমণি গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিন্দীপাড়ার ছবিটা এমনই উজ্জ্বল। এই পাড়ার বেশিরভাগ মানুষ ঢাক বাজিয়ে সংসার চালান। এবছর ভালো বায়না হওয়ায় তাঁরা খুশিতে আত্মহারা। ঢাকিদের কথায়, দুর্গাপুজোর চারটি দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন কালিন্দী পাড়ার মানুষ। এই সময় বকশিস পাওয়া যায়। তাই বাড়তি আয়ের আশায় অপেক্ষা করেন শিল্পীরা। তবে তাঁরা মানছেন, করোনা পরিস্থিতির পর থেকে ঢাকি শিল্পীদের ভিন রাজ্যে যাওয়ার পরিমাণ অনেকটাই কমেছে। 

    কালিন্দী পাড়ার ঢাক শিল্পী অনিল কালিন্দী, লক্ষ্মীকান্ত কালিন্দী বলেন, এবছর বউনি ভালো হয়েছে। পুজো কমিটিগুলো বুকিং করে ফেলেছে। পুজোয় ঢাক বাজানোর জন্য মুখিয়ে আছি। এখান থেকেই এক দল ঢাকি অন্ধ্রপ্রদেশ যাবে বাজাতে। এই সময় বাড়তি আয়ের আশায় অপেক্ষা করে থাকি। 

    প্রসঙ্গত, কালিন্দী পাড়া এলাকায় বংশ পরম্পরায় ঢাকিরা থাকেন।  বছরের পর বছর ধরে ঢাক বাজিয়ে আসছেন শিল্পীরা। বর্তমানে এই এলাকায় কমবেশি ৪০টি ঢাকি পরিবার রয়েছে। বছরের চারটি দিনের জন্য অপেক্ষা করে থাকেন এখানকার ঢাকিরা। মেদিনীপুর ছাড়াও অন্যান্য জেলা ও রাজ্য থেকে বায়না আসে। একসঙ্গে বেশি পরিমাণে টাকা রোজগার হওয়ায় তাঁদের সংসার চালাতে সুবিধা হয়। জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ চাষবাস করেন না। তাঁদের পেশা বলতে ওই ঢাক বাজানো। গ্রামের পুজোয় বায়না খুব বেশি হয় না। কারণ গ্রামের দিকে বড় মাপের পুজোর সংখ্যা শহরের তুলনায় অনেকটাই কম। তাই দুর্গাপুজোয় শহরই একমাত্র ভরসাl বিভিন্ন পুজোতে বাজিয়ে সারা বছর ধরে যে রোজগার হয়, তাতে তাঁদের কোনওমতে পেট চলে। তবে বেশি টাকা রোজগারের লক্ষ্যে তাঁরা শারদ উৎসবের জন্য অপেক্ষা করেন। শুধু ঢাকিরা নন, গ্রামে যাঁরা কাঁসর বাজান, তাঁরাও বাড়তি আয়ের আশায় বুক বাঁধেন। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঢাকিরা ভিন রাজ্যে যাওয়ার জন্য ১৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। এছাড়া কাছাকাছি হলে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা নেন। গ্রামের ক্ষুদে সদস্যরাও বিভিন্ন এলাকায় বাজনা বাজাতে যান। তবে ঢাক সারাই করতে খরচ অনেকটাই বেড়ে যাওয়াটা কিছুটা সমস্যায় পড়েছেন ঢাকিরা।

    ঢাক শিল্পী সোনু কালিন্দী বলেন, সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। এখন জোরকদমে প্র্যাকটিস চলছে। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)