আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার আরজি কর মামলার শুনানি হয় সর্বোচ্চ আদালতে। এ দিন প্রধান বিচারপতি জানান, আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিলে এই জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না রাজ্য প্রশাসন।এ দিন শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, 'চার সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট করছেন চিকিৎসকরা। রাজ্যে এই ধর্মঘটের কারণে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৬ লক্ষ মানুষ চিকিৎসা পাননি। ওপিডি বন্ধ। কার্ডিওলজি, অঙ্কোলজি-সমস্ত চিকিৎসা বন্ধ। আদালত গত শুনানিতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলেছিল। কিন্তু কোনও ধর্মঘটী কাজে যোগ দেননি।' একইসঙ্গে আহত পুলিশের চিকিৎসা করতে রাজি হননি ধর্মঘটী চিকিৎসকরা আদালতে জানান কপিল সিবাল।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এর প্রেক্ষিতে বলেন, ‘রাজ্য সরকার আদালতকে জানিয়েছে ধর্মঘটে অংশ নেওয়া রেসিডেন্ট চিকিৎসকদের কারণে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। এই চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে রাজ্যকে আশ্বস্ত করতে হবে। সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিতে গিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করতে হবে জেলাশাসক এবং পুলিশকে। শৌচাগার, বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা সঠিক রয়েছে কি না, পর্যাপ্ত সিসিটিভ আছে কি না তা দেখতে হবে। যদি না থাকে সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে নজরদারির জন্য।'
প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'আশা করি ধর্মঘটে অংশ নেওয়া চিকিৎসকরা দ্রুত কাজে যোগ দেবেন এবং সমাজের প্রতি তাঁদের দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁরা নিজেদের দায়িত্ব, কর্তব্য সম্পর্কে অবহিত।' রাজ্যের আইনজীবী কবিল সিবাল জানান, প্রতিবাদী এবং কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না রাজ্য। কারও বদলিও করা হবে না।
উল্লেখ্য, গত শুনানিতেও সুপ্রিম কোর্ট জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে বলেছিল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবিগুলিকে সমর্থন করেও তাঁদের কাজে ফেরার কথা বলেছিলেন। কারও বিরুদ্ধে রাজ্য পদক্ষেপ করবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি।