'রাতের উত্তাল সমুদ্রেও এত ভয় পাইনি যা আরজি করে পেয়েছি'
এই সময় | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
এই সময়, কালনা: আরজি করের ঘটনার সময়ে তিনি নর্থ চ্যানেল অভিযানের জন্য ছিলেন নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের ডোনাঘাদিতে। উত্তাল সমুদ্রে সাঁতার কেটে তিনি যখন এশিয়ার প্রথম মহিলা হিসেবে পঞ্চসিন্ধু জয়ের শিরোপা পেলেন তখন বিচারের দাবিতে প্রতিবাদের ঝড় কলকাতা সমেত গোটা দেশে। ইউরোপের মাটি থেকেই তিনি জানলেন সেই ভয়াবহ ঘটনার কথা।তার পরেই ঠিক করেন প্রতিবাদে সামিল হবেন। দীর্ঘ বিদেশ সফর সেরে শনিবার রাতে তিনি পা রাখেন কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখানেই প্ল্যাকার্ড হাতে আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদ জানান বাংলার জলকন্যা সায়নী দাস। শনিবার ফ্লাইট মিস করার কারণে নির্ধারিত সময়ের থেকে কিছুটা দেরিতে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দরে নামেন সায়নী।
তাঁকে সংবর্ধনা জানাতে সেই সময়ে বেশ কয়েকজন কিশোর কিশোরী উপস্থিত ছিল সেখানে। তাদের সঙ্গেই ‘আরজি কর—উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদে সামিল হন ইংলিশ চ্যানেল জয়ী সাঁতারু। রাত ১১টা নাগাদ তিনি পৌঁছন কালনা শহরের বারুইপাড়ার বাড়িতে। রবিবার সকাল থেকে তাঁর অনুগামী ও বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা বাড়িতে গিয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসেন।
আরজি করের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সায়নী বলেন, ‘ওখানে বসে যখন এই ঘটনার কথা জানতে পারি তখন খুব ভয় পেয়েছিলাম। উত্তাল সমুদ্রে রাতের অন্ধকারে ভয়ঙ্কর প্রাণীদের মাঝে সাঁতার কেটে যখন একের পর এক চ্যানেল পার করেছি, তখনও এত ভয় পাইনি। ওখানকার সংবাদমাধ্যমে এই খবর দেখেও খুব লজ্জা পেয়েছি।’
জানান, ১৮ অগস্ট ফেসবুকে এক জন ক্রীড়াবিদ হিসেবে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি চেয়ে পোস্ট করেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিবাদ শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাননি। বলেন, ‘কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেই প্ল্যাকার্ড হাতে প্রতিবাদ জানিয়েছি। যে ঘটনা ঘটেছে তাতে নারীসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। আশা করি, বাংলার সবাই সুরক্ষিত থাকবেন। আমি চাই, এই ঘটনার সঠিক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।’
নিজের অভিযানের অভিজ্ঞতা নিয়ে সায়নী বলেন, ‘সপ্তসিন্ধুর সব ক’টি চ্যানেলের মধ্যে নর্থ চ্যানেল খুবই চ্যালেঞ্জিং তার ঠান্ডা জলের জন্য। তাই অবশ্যই মানসিক চাপ ছিল বেশি। প্রস্তুতির জন্য আইসবাথ নিয়েছি।’ সপ্তসিন্ধু জয়ে এখন তাঁর সামনে শুধু জিব্রাল্টার ও সুগারু চ্যানেল। দুই চ্যানেল কর্তৃপক্ষের কাছেই আবেদন জানিয়ে রেখেছেন সায়নী। উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছেন প্রতিবাদী এই সাঁতারু।
—ওখানে বসে যখন এই ঘটনার কথা জানতে পারি তখন খুব ভয় পেয়েছিলাম। উত্তাল সমুদ্রে রাতের অন্ধকারে ভয়ঙ্কর প্রাণীদের মাঝে সাঁতার কেটে যখন একের পর এক চ্যানেল পার করেছি, তখনও এত ভয় পাইনি। ওখানকার সংবাদমাধ্যমে এই খবর দেখেও খুব লজ্জা পেয়েছি— সায়নী দাস