এই সময়, শান্তিনিকেতন: বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন রাজ্যের এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য ভেদ করতে পুলিশের অস্ত্র এখন তাঁর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। মৃতা অনামিকা সিংকে টাকার জন্য কে, কেন চাপ দিত, সেটা খুঁজে বার করাই এখন ওই মামলার তদন্তে পুলিশের পাখির চোখ।মিথ্যে বলে বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অনামিকা সে সব দু'টি অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছিলেন। মৃতার মা প্রেমলতা দেবী শান্তিনিকেতন থানায় দায়ের করা অভিযোগে জানিয়েছেন, তাঁর মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, অনামিকার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকে প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, তাঁকে একটি কোম্পানির এজেন্ট টাকার জন্য চাপ দিতেন।
সেই কোম্পানির খোঁজ করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর অনামিকা সিং বিশ্বভারতীর শিল্প সদনের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি আম্রপালি ছাত্রী নিবাসে থেকে পড়াশোনা করতেন। গত বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে ওই হস্টেলেই তিনি বিষ খান বলে পুলিশ জেনেছে।
শুক্রবার রাতে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে অনামিকার মৃত্যু হয়। মৃতা ছাত্রীর মোবাইল ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনে দেখা যাচ্ছে, অনামিকার কাছে টাকা চেয়ে তাঁকে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। অনামিকা টাকা দিতে না-পারলে পরিণাম যে ভালো হবে না, সে রকম শাসানিও তাঁকে দেওয়া হয়।
বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বোলপুর) রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের টেকনিক্যাল এক্সপার্টরা মৃতা ছাত্রীর মোবাইল ফোনটি খতিয়ে দেখছেন৷'