• আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে ফেরার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
    বর্তমান | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর-এ চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় আজ, সোমবার একাধিক নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুনানিতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যেই কাজে ফেরার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

    গত ৯ আগস্ট আর জি কর-এ খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডের পর থেকেই কর্মবিরতিতে সামিল হয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। দ্রুত বিচার ও দোষীর শাস্তির দাবিতে টানা এক মাস তাঁদের আন্দোলন চলছে। এর আগেও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফিরতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তখন কোনও ডেডলাইন বেঁধে দেওয়া হয়নি। জুনিয়র চিকিৎসকরাও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেননি। কিন্তু এবার সুর বেশ খানিকটা কঠোর করল শীর্ষ আদালত।

    এদিনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দিতে হবে। আগামীকাল বিকেল ৫টার মধ্যেই তাঁদের কাজে ফিরতে হবে। এর মধ্যে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করলে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না। তবে এরপরও যদি কোনও জুনিয়র চিকিৎসক কাজে যোগ না দেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য পদক্ষেপ করলে আমরা বাধা দিতে পারব না।’

    পাশাপাশি, এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকার আলোচনার জন্য তৈরি রয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দল এসে আলোচনায় বসতেই পারে।’

    প্রসঙ্গত, গত ৯ আগস্ট আর জি করের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিস। পরে কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে আর জি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং কলকাতা পুলিস। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তদন্তভার সিবিআইকে হস্তান্তরিত করা হয়। পরে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা গ্রহণ করে দেশের শীর্ষ আদালতও। ওই মামলাতেই গত ৫ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। গত ২২ আগস্ট এই দিনই নির্ধারণ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। যদিও পরে সেটি পিছিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি জানিয়ে শীর্ষ আদালতের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি নোটিসও প্রকাশ করা হয়। সেটিতে জানানো হয়েছিল, প্রধান বিচারপতি অসুস্থ। সেই কারণেই তিনি আদালতে আসতে পারবেন না। এরপর আজ, সোমবার এই মামলার শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টে।
  • Link to this news (বর্তমান)