পুলিস কমিশনার পদে বহাল থাকছেন বিনীত গোয়েলই। এদিন নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে সরাসরি জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পদত্যাগ করার জন্য কলকাতার পুলিস কমিশনার নিজে আমার কাছে অনেকবার এসেছে। সাতদিন আগে। সামনে পুজো। ল’ অ্যান্ড অর্ডারটা বড় বিষয়। যিনি দায়িত্বে থাকবেন, তাঁকে তো বিষয়টা জানতে হবে। পুজোর সময়। কিছুদিন ধৈর্য ধরলে কী হয়? আপনারা ঠিক করবেন, সবাইকে বদলাতে হবে? আপনি ১০টা দাবি দিতে পারেন। আমি ৫টা করতে পারি, ৫টা নাও করতে পারি।'
সাম্প্রতিক আন্দোলনের প্রসঙ্গ মমতা বলেন, “আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা হতে পারে কি না, সেটা পুলিস দেখবে না? ভাগ্যিস পুলিস এই কটা দিন সামলেছে। শান্তিপূর্ণ থেকেছে। মার খেয়েছে। নিজেদের রক্ত দিয়েছে, কিন্তু কারও রক্ত নেয়নি। কিন্তু মনে রাখবেন, পুলিসেরও সংসার আছে, তাঁদেরও পরিবার আছে। যাকে পারছেন যা খুশি বলছেন। একবার ভাববেন না, আপনার পরিবারকে তুলে কেউ বললে কেমন লাগে?’
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে কলকাতা পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েলের ইস্তফা দাবি করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই মর্মে লালবাজারে গিয়ে ডেপুটেশনও জমা দিয়েছেন তাঁরা। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্তে গাফিলতি ও ১৪ অগাস্ট রাতে আরজি করে যখন দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালাচ্ছে, তখন সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার অভিযোগে সিপি-র বিরুদ্ধে সরব আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা। 'পুলিসি ব্যর্থতা মেনে নিয়েছেন সিপি। ১২ ও ১৪ তারিখের ঘটনা তিনি স্বীকার করেছেন।' লালবাজারে ডেপুটেশন জমা দিয়ে বেরিয়ে এসে জানায় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধি দল। সিপি-র পদত্যাগ চেয়ে সিপি-র কাছেই দরবার করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।