প্রধান বিচারপতি বলেন, 'মঙ্গবলবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দেওয়া হল। অন্য সিনিয়র চিকিৎসকরা কাজ করছে বলে আমরা করব না, এটা হতে পারে না। আমরা জানি কি ঘটছে। চিকিৎসকরা সিস্টেমের বাইরে নয়। কাজে যোগ দিতে হবে। রোগীদের পরিষেবা দিতে হবে।তাদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না। যদি কাজে যোগ না দেন তারপর পদক্ষেপ নেওয়া হলে কাউকে দায়ী করবেন না।' আদালতের বক্তব্য, চিকিত্সকেরা কাজে যোগ না দিলে তাদের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়ার সম্ভবনা থাকবে।
আরজিকরের সামগ্রিক নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কি কি করা হয়েছে, আগামী শুনানির দিন জানাবে রাজ্য। এরপরেই আইনজীবী কপিব সিব্বল জানান, চিকিৎসকদের লাগাতার কর্মবিরতির ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় খারাপ প্রভাব পড়ছে। ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কাজে যোগ দিচ্ছেন না চিকিৎসকরা। এখন সারা রাজ্যে প্রতিবাদ হচ্ছে। রাজ্যকে, পুলিসকে আগাম জানানো হচ্ছে না। আন্দোলনের জেরে ৪১ পুলিস জখম হয়েছেন। একজন চোখ হারিয়েছেন।
এরপরেই সিজেআই বলেন, আমরা নির্দেশ দেব, চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার। তাদের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করবে না রাজ্য। কিন্তু, পাশাপাশি নির্দেশ সত্ত্বেও কাজে যোগ না দিলে রাজ্য সরকার ব্যবস্থা নিতে পারবে। আদালতে দাবি, চিকিৎসকদের ভয় দেখানো হচ্ছে। সিজেআই জানতে চান কী ধরণের থ্রেট বিচারপতি পার্দিওয়ালা বলেন, আপনাদের কাছে প্রমাণ থাকলে আমাদের দিন। চিকিৎসকদের বিশ্রাম নেওয়া ইত্যাদির জন্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
২৮ দিন ধরে রেসিডেন্ট ডক্টরসদের ধর্ণায় চিকিৎসা ব্যবস্থার উপর প্রভাব ফেলেছে। রাজ্যকে চিকিৎসকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে চিকিৎসকদের মনোবল ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে বলে নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।