নব্যেন্দু হাজরা: ‘অভয়া’র দ্রুত সুবিচারের দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের উপর চাপ বাড়াতে ‘রাত দখলে’ নেমেছেন রাজ্যবাসী। ১৪ আগস্ট মধ্যরাত থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা প্রায় প্রতি রাতেই কোথাও না কোথাও জারি থাকছে। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আর জি করে ধর্ষণ-খুন মামলার শুনানির আগে রবিবার রাতেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথে নেমে মিছিল করেছেন সাধারণ মানুষ। আর এই ‘রাত দখল’ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আন্দোলনের নাম না করে সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে তিনি তুলে ধরলেন সমস্যার কথা।
‘রাত দখল’ অভিযানে জমায়েতের মাঝে কোথাও কোথাও ঘটে গিয়েছে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা। সেখানে মহিলাদের হেনস্তা, পুলিশের অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। আন্দোলন যেমন সাড়া ফেলেছে, তেমনই এসব সমস্যাও তৈরি হয়েছে। সোমবার অবশ্য এসব কিছুর উল্লেখ না করে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ”প্রতিদিন রাতে আপনারা যদি রাস্তায় থাকেন, অনেক মানুষের সমস্যা হয়। অনেক এলাকায় অনেক বয়স্ক মানুষ আছেন। আলো লাগালে তাঁদের ঘুমোতে অসুবিধা হতে পারে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিয়ম, রাত ১০টার পর মাইক বাজানো যায় না। তা সত্ত্বেও এসব হচ্ছে প্রায় রোজ। আমরা তো সব ছেড়ে দিয়েছি। এক মাস হয়ে গেল। আমি অনুরোধ করব, পুজোতে ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন।”
কলকাতার নাগরিক সমাজের ডাক দেওয়া এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে। রবিবার এ দেশের সঙ্গে পথে নেমেছেন অন্তত ২৪ দেশের ভারতীয় নাগরিকরা। সিডনি, অকল্যান্ড থেকে প্যারিস, জুরিখ ? বিচারের দাবিতে মিলে গিয়েছে সব সুর। কিন্তু আন্দোলনের এই তীব্রতার নেপথ্যে সত্য কতটা, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর মন্তব্য, ”বাংলার নামে বদনাম হচ্ছে। একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ হয়েছে। এখান থেকে পড়াশোনা করে, খেয়েদেয়ে যাঁরা বাইরে গিয়েছেন, তাঁরা গিয়ে বাংলার একতরফা কথা শুনে বদনাম করছেন। এটা কাম্য নয়।”