আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ থেকে সেখানকার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাসস্থান কতদূরে তা জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার আরজি কর মামলার শুনানিতে ওই প্রশ্ন তোলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। সিবিআই-এর তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে জানান, বাসস্থান ১৫ থেকে ২০ মিনিটের পথ। তদন্ত নিয়ে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, তাতে তার উল্লেখ রয়েছে।কিন্তু কী কারণে তিনি এই প্রশ্ন তোলেন? সূত্রের খবর, সিবিআইয়ের পেশ করা রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের অনেক পরে হাসপাতালে পৌঁছন সন্দীপ ঘোষ। আইনজীবীদের একাংশের অনুমান, তার প্রেক্ষিতেই সন্দীপের বাড়ি থেকে হাসপাতালের দূরত্ব জানতে চান প্রধান বিচারপতি। সন্দীপের দেরিতে আসা নিয়ে অভিযোগ ওঠায় তা তিনি জানতে চান।
৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে উদ্ধার হয় তরুণী চিকিৎসকের দেহ। প্রাথমিক তদন্তের পর জানা যায়, ধর্ষণের পরে খুন করা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় উত্তাল হয়েছে গোটা রাজ্য। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে তোলপাড় চলছে রাজ্যজুড়ে। আন্দোলনে নেমেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরাও। তাঁদের নিশানায় প্রথম থেকেই ছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। ইতিমধ্যেই দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগে তিনি সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গত দিনের শুনানিতে নির্যাতিতার দেহ উদ্ধারের পর কখন অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা। আইনজীবী মহলের একাংশের কথায়, ‘ এ দিন সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে আরজি করের দূরত্ব জানতে চাওয়া বিস্তর তাৎপর্যপূর্ণ।’
আরজি কর মামলার শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে এ দিন ছিলেন বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এ দিন সিবিআই-কে নতুন স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্ষ হয়েছে আগামী মঙ্গলবার। তার আগে সিবিআইকে আরও একটি স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে।