• রায় নয়, সঞ্জয় রাই; RG করের অভিযুক্ত আদতে বিহারের লোক, দাবি মমতার, ‘হাওড়ারও…’
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সঞ্জয় রায় নয়, সঞ্জয় রাই- আরজি কর কাণ্ডে ধৃতের নাম নিয়ে ‘বিভ্রান্তি’ কাটালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করলেন, সঞ্জয় আদতে বিহারের লোক। একইভাবে হাওড়া জেলা হাসপাতালের মধ্যে চিকিৎসাধীন এক কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে যে ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানকে পশ্চিমবঙ্গের সুরক্ষা নিশ্চিত করার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। যদিও বিষয়টি নিয়ে বাংলা পক্ষের তরফে উষ্মাপ্রকাশ করা হয়েছে। সেই সংগঠনের বক্তব্য, বিহারের লোক হয়ে ধৃতরা কীভাবে পশ্চিমবঙ্গে কাজ পেল?

    সোমবার নবান্নে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই তো হাওড়াতেও যে কেসটা হল। দুর্ভাগ্যজনক দুটো কেসেই আমার বিহারের বন্ধুরা জড়িত। যাঁরা বিহারবাসী আছেন, তাঁদের কাছে আমি হাতজোড় করে রিকোয়েস্ট করব, আপনাদের আমরা ঘরের লোক বলেই মনে করি। আপনারাও যখন কাজ করেন, তখন মনে করবেন যে এটাও আপনাদের বাড়ি। সেই বাড়িকে সুরক্ষা দেওয়া আপনাদেরই দায়িত্ব। এই যে ছেলেটাকে পুলিশ প্রথমে অ্যারেস্ট করেছে, সে কিন্তু রায় নয়, রাই।’

    মমতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বাংলা পক্ষের শীর্ষ পরিষদ সদস্য ও সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক মাইতি মন্তব্য করেন, নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন যে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা এবং হাওড়ার হাসপাতালের কিশোরীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত দু'জনই বিহারের বাসিন্দা। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে যে কীভাবে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়ে গেল, অপরজন কীভাবে সরকারি হাসপাতালের ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান হয়ে গেল? তাঁর প্রশ্ন, ‘বাঙালি জবাব চায়। বাঙালিদের বঞ্চিত করে বহিরাগতদের চাকরি কারা দিচ্ছে?’

    মমতা যেদিন সেই মন্তব্য করেন, সেদিনই সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের মামলা ওঠে। তদন্তের কতটা অগ্রগতি হয়েছে, তা নিয়ে মুখবন্ধ খামে শীর্ষ আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সিবিআই। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর ফের সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি হবে। সেদিনও সিবিআইকে নতুন করে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে শীর্ষ আদালত।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)