আরজি করের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য চলছে আন্দোলন। এই আবহেই তমলুকের একটি নার্সিংহোমের ওটি থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম সাহেব দাস। তাঁর বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচায়। সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমে বিগত ৭ বছর ধরে তিনি ওটি স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় তমলুক থানার পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, সোমবার কাজে আসেনি ওই যুবক। গভীর রাতে সে হাসপাতালে ঢোকে বলে অনুমান করছে তারা। এক নার্সিংহোম মালিকের দাবি, প্রেমের সম্পর্কের অবণতির কারণে সাহেবের এই পরিণতি হতে পারে। তবে পুরো বিষয়টিই তদন্ত সাপেক্ষ বলে জানান তিনি।
সোমবার সকালে ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য তমলুক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসার পরেই এই বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনও মন্তব্য করা সম্ভব বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য জানান, দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা সম্ভব হবে। যদিও ওই যুবকের পরিবারের দাবি, সাহেব আত্মঘাতী হননি। তাঁরা গোটা ঘটনায় তদন্তের দাবি করেছে।