ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধান নস্কর: ফের বিনা চিকিৎসায় রোগীমৃত্যুর অভিযোগ রাজ্যে। এবার ডেঙ্গুতে মৃত্যু হল দক্ষিণ দমদম পুরসভার পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ার। অভিযোগের আঙুল, দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতাল ও বেলেঘাটা আই ডি-র চিকিৎসকদের দিকে। পরিবারের দাবি, তাদের ছেলেকে ন্যূনতম স্যালাইন দেওয়া হয়নি। ফলে প্লেটলেট কমে মৃত্যু হয় কিশোরের। ঘটনার উল্লেখ করে তৃণমূলরের দাবি, আন্দোলন আন্দোলনের জায়গায়। কিন্তু নিরপরাধ মানুষের মৃত্যু নেমে নেওয়া যায় না।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ড শ্যামনগর দাস ভিলা এলাকার বাসিন্দা সৃজন সাহা। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। গত শুক্রবার রক্তপরীক্ষায় জানা যায় সে ডেঙ্গু আক্রান্ত। প্রাথমিকভাবে তাকে দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তুসেখানে চিকিৎসা হয়নি। বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে সৃজনকে ভর্তি নেওয়া হয়, কিন্তু কোনও চিকিৎসা করা হয়নি বলেই অভিযোগ পরিবারের।
মৃত ছাত্রের পরিবারের দাবি, হাসপাতালে ভর্তি নেওয়ার পর রাতভর স্যালাইনও দেওয়া হয়নি। ফলে সৃজনের প্লেটলেট দেড় লক্ষ থেকে ৪০ হাজারে নেমে আসে। মৃত্যু হয় তার। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসকদের কর্মবিরতির জেরেই এই পরিস্থিতি। ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে থেকেও তাদের দাবি, আন্দোলনকে তারাও সমর্থন করেন। কিন্তু তাদের মত অসহায় মানুষদের দিকে তাকানো উচিৎ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালে কোনও রোগীর সঠিক পরিষেবা পাওয়া যায় না। বারংবার খবরের শিরোনামে উঠে আসে এই হাসপাতাল। জুন মাসেও হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, দক্ষিণ দমদম পুর হাসপাতালে কোনওরকম পরিষেবা দেওয়া হয়নি। দুবার তাঁরা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানায়, তারা পরিষেবা দিতে পারবে না। তাদের পরিকাঠামোই নেই।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু আর জি কর, এস এস কে এম হাসপাতালের রোগীমৃত্যু উল্লেখ করে বিনা চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যুর কথা বলেন। তৃণমূলের দাবি, “আর জি কর, এস এস কে এম হাসপাতালের চিকিৎসার অভাবে দক্ষিণ দমদমে রোগীর মৃত্যু হল। আন্দোলনের মতো আন্দোলন চলবে। কিন্তু চিকিৎসার দেরির জন্য রোগীর মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না।”