স্টাফ রিপোর্টার: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরও অনড় জুনিয়র চিকিৎসকরা। কর্মবিরতি চলবে। কিন্তু কতক্ষণ? তা নিয়ে তাঁদের নিজেদের মধ্যেই টানাপোড়েন শুরু হয়েছে বলেই সূত্রের দাবি। একপক্ষ কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে। অন্যপক্ষ অবশ্য শর্তসাপেক্ষে কাজে ফেরার পক্ষে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পাঁচ দফা দাবিতে মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে। এই সময়ের মধ্যে তাঁদের দাবি নিয়ে রাজ্য প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তা দেখে তার পর আবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্রের দাবি, কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে একটি অতি বাম সংগঠন।
মঙ্গলবার দুপুরে ফের স্বাস্থ্যভবন অভিযান চিকিৎসকদের। এবার স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তাঁরা। এদিন শীর্ষ আদালতে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে তথ্য দেওয়া হয়, কর্মবিরতির জেরে বিনা চিকিৎসায় রাজ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই তথ্য রাজ্য় কোথা থেকে পেয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ দাবি করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। আন্দোলনকারীদের একাংশের দাবি, এই তথ্য দিয়ে পিজিটিদের সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। আড়াল করতে চাইছে এক তরুণী চিকিৎসকের নারকীয়ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা। তাই আর কাজে ফিরব না। অন্যপক্ষ অবশ্য বলছে, এই তথ্য দেওয়ার জন্য় রাজ্য সরকার ক্ষমা চাক। তাহলেই তাঁরা কাজে যোগ দেবেন। এ নিয়ে টানাপোড়েন চলছে।
৯ আগস্ট আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই কর্মবিরতির ডাক দেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সুবিচারের দাবিতে টানা একমাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। যার জেরে বেহাল স্বাস্থ্য পরিষেবা। সিনিয়র ডাক্তাররা কোনওরকমে আউটডোর পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছেন। ভোগান্তির মুখে পড়েছেন রোগীরা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য়ের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানিয়েছেন, কর্মবিরতির জেরে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর পরই আগামিকাল বিকেল ৫টার মধ্যে তাঁদের চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। কিন্তু সেই নির্দেশের পরও কাজে ফিরছেন না তাঁরা।
সোমবার দুপুর থেকেই দফায় দফায় বৈঠক হয়। প্রথমে আর জি করের জুনিয়র ডাক্তাররা বৈঠক করেন। পরে রাজ্যের ২৮টি মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকরা বৈঠক করেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার। একইসঙ্গে নারায়ণস্বরূপ নিগমের পদত্যাগের দাবি তোলেন তাঁরা। এদিন শীর্ষ আদালতে রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে তথ্য দেওয়া হয়, কর্মবিরতির জেরে বিনা চিকিৎসায় রাজ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই তথ্য রাজ্য় কোথা থেকে পেয়েছে, সেই প্রশ্ন তুলে স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগ দাবি করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই দাবি তুলে আগামিকাল ফের স্বাস্থ্যভবন অভিযান করবেন তাঁরা।