• গোপনাঙ্গ ছুঁয়ে ‘ডু ইউ লাইক ইট?’ হংকংয়ে পুরুষ নার্সের শ্লীলতাহানিতে জেলেও যান সন্দীপ!
    প্রতিদিন | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় তদন্তকারীদের নজরে চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষের(Sandip Ghosh) ভূমিকা। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এল বিস্ফোরক তথ্য। জানা যাচ্ছে, কয়েক বছর আগে হংকংয়ের এক হাসপাতালে পুরুষ নার্সিং পড়ুয়াকে যৌন নিগ্রহ হয়। আপত্তিকরভাবে তাঁর শরীরে হাত দেওয়ার পাশাপাশি গোপনাঙ্গ ছোঁয়ার চেষ্টা করেন এক ভারতীয় চিকিৎসক। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই চিকিৎসকের নাম সন্দীপ ঘোষ এবং তিনি অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসক। সেই ঘটনার জেরে গ্রেপ্তারও করা হয় সন্দীপকে। একাধিক তথ্যের দাবি, সেই সন্দীপ ও আরজি করের সন্দীপ একই ব্যক্তি।

    আরজি করে ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সন্দীপ। অধ্যক্ষ হিসেবে হাসপাতালের দায়িত্বে থাকাকালীন তাঁর একের পর এক কীর্তি প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। এরই মাঝে প্রকাশ্যে এসেছে ২০১৭ সালে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট-এর একটি খবর। ৭ বছরের পুরানো সেই খবর অনুযায়ী, ওই ছাত্রের অভিযোগ, বছর পঁয়তাল্লিশের সন্দীপ তাঁর পশ্চাতে চাপড় মেরে তাঁর গোপনাঙ্গ ছোঁয়ার চেষ্টা করেন। এর পর বলেন, ‘ডু ইউ লাইক দিস?’ পড়ুয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে হংকং পুলিশ সন্দীপকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। এবং বেশ কিছুদিন জেলেও থাকতে হয় তাঁকে।

    জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালের মে মাসে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান চিকিৎসক ছিলেন সন্দীপ। একটি চিকিৎসা-শিক্ষা সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে হংকংয়ের কাউলুন শহরে যান তিনি। তাঁর সেই সফর আবার সরকারি অনুমতি ছাড়াই হয়েছিল বলে অভিযোগ। যার জেরে সন্দীপের বিরুদ্ধে ভিজিল্যান্সও হয়, পরে অবশ্য বিষয়টি ধামাচাপা পরে যায়। তবে অতীতে সন্দীপের সেই পুরানো কীর্তি নতুন করে প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে শোরগোল শুরু হয়েছে।

    এই মামলায় আদালতে সন্দীপের দাবি ছিল, শোল্ডার ডিসলোকেশনের সমস্যা কীভাবে ঠিক করতে হয় তা হাতে কলমে ওই নার্সকে দেখাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় অনিচ্ছাকৃত ওই নার্সিং ছাত্রের পশ্চাতে হাত লেগে যায়। সমস্যা কীভাবে ঠিক করতে হয় তা দেখানোর পর তিনি বলেছিলেন, ডু ইউ লাইক দিস। যা ঘটেছে তা নিছক ভুল বোঝাবুঝি। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে সন্দীপের সতীর্থ উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘যত দূর মনে পড়ছে, সে সময়ে সন্দীপের বিদেশ সফর নিয়ে একটা গোলমালও হয়েছিল। এবং হংকংয়ে গিয়ে উনি শ্লীলতাহানির দায়ে জেলও খেটেছিলেন। অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক পরিচিতি ও সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে সে সময়ে ওঁকে ছাড়িয়ে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।’
  • Link to this news (প্রতিদিন)