• বিষ্ণুপুরের দ্বারিকা শিল্পাঞ্চলে ফের বিনিয়োগ, নয়া কারখানা
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: প্রায় এক দশকের অন্ধকার যুগ কাটিয়ে বিষ্ণুপুরের দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল ক্রমশ জেগে উঠছে। সেখানে আরও একটি নতুন কারখানা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। রঙিন টিন তৈরির ওই কারখানার কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। কয়েকদিন আগেই একটি কারখানা সেখানে চালু হয়েছে। চিমনি দিয়ে গলগল করে ধোঁয়া আকাশে উড়তে শুরু করেছে। টাটাদের কারখানা তৈরির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিছুদিন পর সেটাও চালু হবে। শিল্পাঞ্চল এলাকায় আরও একটি নতুন কারখানা তৈরি হওয়ায় এলাকায় নতুন করে উচ্ছ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সরাসরি কর্মসংস্থানের পাশাপাশি ভেঙে পড়া বাজার হাট আবার নতুন করে জাগতে শুরু করেছে। তাই এবার ধুমধাম করে বিশ্বকর্মা পুজো হবে বলে বিভিন্ন কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে।  

    বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল নতুন করে জেগে উঠছে। সেখানে রঙিন টিন তৈরির নতুন একটি ইউনিট তৈরির কাজ চলছে। খুব বড় না হলেও মাঝারি ওই শিল্পে কিছু হলেও কর্মসংস্থান হবে।   

    প্রসঙ্গত, একটা সময় দ্বারিকায় পাঁচটি বড় মাপের এবং আরও তিন-চারটি মাঝারি কারখানা চালু হয়েছিল। মেশিনের ঘড়ঘড় আওয়াজে এলাকা গমগম করত। আলোয় ঝলমল করত গোটা এলাকা। বিভিন্ন শিফটে কাজের কারণে কর্মীদের যাতায়াতে দিন ও রাতের ফারাকটাই মুছে গিয়েছিল। আর তাকে কেন্দ্র করে এলাকায় বাজার হাটও জমে উঠেছিল। কিন্তু, পরবর্তীকালে দক্ষিণ ভারতের মালিকরা একে একে তাদের কারখানার ঝাঁপ গুটিয়ে চলে যান। কর্মীরাও বেকার হয়ে পড়েন। সংসার চালানোর জন্য তাঁদের মধ্যে অনেকেই বিকল্প পেশায় নিযুক্ত হয়েছেন। কিন্তু, বুকে একরাশ হতাশা নিয়েও নতুন করে কারখানা চালুর আশায় দিন গুনছিলেন। এভাবে ১০টা বছর পেরিয়ে যায়। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় টাটার মতো সংস্থা দ্বারিকা শিল্পাঞ্চলে কারখানা করতে এগিয়ে আসায় তাঁরা পুনরায় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। শুধু তাই নয়, ওড়িশার একটি কোম্পানি কয়েকদিন আগে তাদের কারখানা চালু করেছে। সেখানে পুরনো কর্মীদের অনেকেই কাজ করছেন। টাটাদেরও কারখানা নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। এছাড়া আরও একটি রঙিন টিনের কারখানা নির্মাণের কাজ চলছে। আর তা দেখেই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা দোকানপাট আবার খুলতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল নতুন করে জেগে উঠছে। তাই প্রায় একযুগ ধরে বন্ধ থাকার পর আবার বিশ্বকর্মা পুজোরও প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।  স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুরের শ্যামসুন্দরপুর এলাকায় রঙিন টিন উৎপাদনের একটি কারখানা আগে থেকেই চালু রয়েছে। তারাই দ্বারিকা শিল্পাঞ্চলে কয়েক একর জায়গা পশ্চিমবঙ্গ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের কাছ থেকে লিজে নিয়েছে। সেখানেই তারা নতুন একটি ইউনিট স্থাপন করতে চলেছে। বিষ্ণুপুর-সোনামুখী মেন রাস্তার ধারেই পাঁচিলের ভিতরে নির্মাণকাজ জোরকদমে চলছে। 

    ওই কারখানার এক সাইট ইনচার্জ বলেন, শ্যামসুন্দরপুরে জায়গার সমস্যা রয়েছে। তাই কারখানার সম্প্রসারণের ভীষণ প্রয়োজন ছিল। সেই জন্য দ্বারিকায় নতুন একটি ইউনিট তৈরি করা হচ্ছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)