• অমৃতবেড়িয়ায় রূপনারায়ণের ভাঙন রোধে ড্রেজিংয়ের দাবি বাসিন্দাদের
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, হলদিয়া: মহিষাদলে রূপনারায়ণের ভয়াবহ ভাঙন ঠেকাতে নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা বিশাল চর ড্রেজিং করার দাবি তুলেছেন অমৃতবেড়িয়ার বাসিন্দারা। মাঝনদীতে চর বাড়তে থাকায় রূপনারায়ণ নদের গভীর চ্যানেল অমৃতবেড়িয়া ও নাটশালের দিকে সরে এসেছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। ফলে নদীবাঁধের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙনের প্রবণতা বাড়ছে। সেচদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররাও এই দাবিকে মান্যতা দিচ্ছেন। ষাঁড়াষাঁড়ি কোটালে বাড়অমৃতবেড়িয়ার দু›টি জায়গায় ভাঙনের পর চর ড্রেজিং নিয়ে সরব হয়েছেন গ্রামবাসীরা। ইতিমধ্যেই স্থানীয় বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী ও সেচদপ্তরের কাছে ওই দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সোমবার ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনের সময় তমলুকের বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে স্থানীয়রা ফের চর ড্রেজিংয়ের দাবি জানান। সাংসদ এদিন সেচদপ্তরের কাজ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। 

    স্থানীয়রা বলেন, নদীর চ্যানেল গভীর থাকায় ভাঙনপ্রবণ এলাকায় নদীবাঁধ বার বার ধসে গিয়ে বিপদ তৈরি হচ্ছে। কংক্রিটের বাঁধও টিকছে না। লক্ষ লক্ষ টাকা জলে ভেসে যাচ্ছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য চর ড্রেজিংয়ের দাবি জানান তাঁরা। সেচদপ্তরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত সরকার বলেন, রূপনারায়ণের চর ড্রেজিং করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। চরের কারণে জোয়ার ভাটার সময় জলস্রোতের বেশির অংশ অমৃতবেড়িয়ার দিকের গভীর চ্যানেল দিয়ে প্রবাহিত হয়। চর ড্রেজিং করে তুলে দিলে গভীর নদীখাত মাঝখানের দিকে ফের সরে যাবে। নদীর প্রবাহের বদল ঘটাতে পারলে স্থায়ী সমাধান সম্ভব। এজন্য সেচদপ্তরের সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। সেচদপ্তর জানিয়েছে, রূপনারায়ণ নদের ড্রেজিংয়ের বিষয়টি এখন রাজ্যের রিভার কমিশনের হাতে নেই। ওই নদী ড্রেজিংয়ের দায়িত্ব কেন্দ্রের ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজ অথরিটির উপর। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এদিন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সাংসদকেও এই বিষয়টি জানিয়েছেন। সাংসদকে ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজকে দিয়ে ড্রেজিং করানোর আবেদন করেছেন তিনি। পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা বিজেপির রঘুনাথ পণ্ডা বলেন, সেচদপ্তর ভালো কাজ করছে ঠিকই কিন্তু দূর থেকে মাটি আনতে গিয়ে কাজে দেরি হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, রিকশভ্যান পিছু সাড়ে সাতশো টাকা খরচ করে তমলুক থেকে মাটি এনে বস্তায় ভরা হচ্ছে। অথচ ঠিকাদার ওই এলাকা থেকে মাটি সংগ্রহ করছে না। এনিয়ে এদিন সেচদপ্তরের ওভারসিয়ারের সঙ্গে বিরোধী দলনেতার বাকবিতণ্ডা হয়। তবে সাংসদের ভূমিকা নিয়ে এদিন কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি পরিচালিত হলেও ভয়াবহ ভাঙনের সময় ওই দলের সাংসদ, বিধায়কদের সময়মতো মানুষের পাশে দেখা যায়নি। ভাঙনের চারদিন পর সাংসদ বেড়াতে এসেছেন বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। মানুষের দাবি মেনে তাঁর কাছে আমরাও নদীর ড্রেজিং দাবি করছি, বলেন বিধায়ক।
  • Link to this news (বর্তমান)