• শান্তিনিকেতনের রিসর্টকে আবর্জনা পরিষ্কারের নোটিস দিল বনদপ্তর
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বোলপুর: বনে আবর্জনা ফেলতে যাওয়া রিসর্ট কর্মীদের হাতেনাতে ধরে ফেললেন এডিএফও। সোমবার শান্তিনিকেতনের বল্লভপুর অভয়ারণ্য সংলগ্ন সোনাঝুরি খোয়াইয়ের হাট ও সংলগ্ন এলাকায় বনদপ্তরের সীমানা নির্ধারণের কাজ খতিয়ে দেখতে এসেছিলেন অ্যাডিশনাল ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার (এডিএফও) সোমনাথ চৌধুরী। তারপরেই সেই আবর্জনা পরিষ্কার করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট হোটেল কর্তৃপক্ষকে ওই এলাকার সমস্ত নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করার জন্য নোটিসও ধরিয়েছেন।‌ এর জন্য তিনি সাতদিন সময়সীমা ধার্য করেছেন। ‌নচেৎ কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমীরা।

    রাঙামাটির জেলা বীরভূম। সেই ঐতিহ্যকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গিয়েছে কবিগুরুর ঐতিহ্যবাহী বিশ্বভারতী। এক কথায় শিল্প ও শিল্পীর সমাবেশ। স্থানীয় হস্তশিল্পীরা যাতে আর্থিকভাবে সমৃদ্ধ হন সেই ভাবনায় ২০০৩ সালে বল্লভপুর অভয়ারণ্য সংলগ্ন সোনাঝুরি খোয়াইয়ে গুটি কয়েক শিল্পীদের নিয়ে সপ্তাহে একদিনের হাট শুরু করেছিলেন বিশ্বভারতীর প্রবীণ আশ্রমিক প্রয়াত শ্যামলী খাস্তগীর। শনিবারের হাট নামে সেই হাট ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। বর্তমানে তা এক বিশাল মহীরুহে পরিণত হয়েছে। বেড়েছে ব্যবসার বিপুল পরিমাণ। তাল মিলিয়ে একের পর এক ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে হোটেল ও রিসর্ট। ফলে, পরিবেশ দূষণ বেড়েই চলেছে। এছাড়া একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী বনদপ্তরের জায়গা দখল করে নির্মাণ করেছে হোটেল ও রিসর্ট। ‌তার প্রেক্ষিতে এবার নিজেদের জায়গা উদ্ধারে সচেষ্ট হল বনদপ্তর। সেজন্য দিন কয়েক আগে শুরু হয়েছে সীমানা নির্ধারণের কাজ। এদিনের পরিদর্শনে হাট সংলগ্ন এলাকায় চারা গাছ কাটা থেকে শুরু করে খোয়াইয়ে আবর্জনা দেখে চক্ষু চরকগাছ হওয়ার জোগাড় হয় এডিএফও সহ বনদপ্তরের আধিকারিকদের।‌ সেই সময়েই সংশ্লিষ্ট জায়গায় আবর্জনা ফেলছিল একটি রিসর্টের কর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে সংশ্লিষ্ট জায়গা পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি নোংরা আবর্জনা ছড়ানোর জন্য ওই হোটেল কর্তৃপক্ষকে সংশ্লিষ্ট এলাকা সাত দিনের মধ্যে পরিস্কার করার নোটিসও ধরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এডিএফও। তিনি বলেন, চারা গাছ কাটার জন্য অন্য একটি রিসর্টকেও জবাব দিতে বলা হয়েছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)