• বারবার হাতির আক্রমণে চাষের ক্ষতি, শালবনীতে পথ অবরোধ
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: রাতের অন্ধকারে চাষের জমিতে ঢুকছে হাতির দল। এরফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোমবার সকালে মেদিনীপুর থেকে লালগড় যাওয়ার রাস্তায় শালবনী থানার পাথর কুমকুমি এলাকায় অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসীর অভিযোগ, ওই এলাকায় সবে ধান চাষ শুরু হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে ২০টি হাতি তাণ্ডব চালিয়েছে। হাতির হানায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হচ্ছে ধানের। এনিয়ে বনদপ্তরে বারবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এছাড়াও ক্ষয়ক্ষতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ পান না চাষিরা। এরফলে চাষ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

    স্থানীয় ও বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন প্রায় এক ঘণ্টা ধরে গ্রামবাসীরা পথ অবরোধ করেন। অবরোধের জেরে রাস্তার ধারে লাইন নিয়ে দাঁড়িয়ে যায় অসংখ্য গাড়ি। এরফলে সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় শালবনী থানার পুলিস ও বনদপ্তরের আধিকারিকরা। পরে গ্রামবাসীকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে মৌপাল বিট অফিসে একটি লিখিত আবেদন জানানো হয়েছে। গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে দল হাতি থাকায় পাথর কুমকুমি সহ একাধিক গ্রামের মানুষ আতঙ্কের বসবাস করছেন। 

    স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, কয়েক বছরে হাতির সমস্যা বেড়েছে। হাতির দল প্রচুর বাড়ি-ঘর ভাঙছে। ক্ষতিপূরণের টাকা পেতেও অনেক দেরি হচ্ছে। এলাকার সাধারণ মানুষ বনদপ্তরে বহুবার অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। ঝাড়গ্রামের দিক থেকে হাতির দল ঢুকে ক্ষয়ক্ষতি করে ফিরে যাচ্ছে। 

    এদিন পাথর কুমকুমি এলাকার বাসিন্দা হরমোহন সিং বলেন, হাতি এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি করছে। ধানের ক্ষতি হওয়ায় চাষিরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে। হাতির সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। তবে বনদপ্তর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

    বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, হাতির হানায় ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হাতি ও মানুষ উভয়কেই আমাদের রক্ষা করতে হবে। 

     ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ায় এফসিআই গোডাউনে খাবারের সন্ধানে রামলাল।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)