• উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঁচ পড়ুয়া সাসপেন্ড
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচার ও পরীক্ষায় কারচুপির অভিযোগে পাঁচ পড়ুয়াকে সাসপেন্ড এবং ইন্টার্ন সোহম মণ্ডল ও সাহিন সরকার সহ তিনজন হাউস স্টাফকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছেন অধ্যক্ষ ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহা। পাশাপাশি ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত, ডাঃ সুদীপ্ত শীল ও ডাঃ নিলাব্জ ঘোষকে ছুটিতে যাওয়ার প্রস্তাবও কলেজ কাউন্সিল দিয়েছে বলে অধ্যক্ষ জানিয়েছেন। ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলেন, তদন্ত কমিটি আমায় ডাকেনি। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই কীভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হল, জানি না। অধ্যক্ষের চিঠি পেলে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেব। প্রাক্তন সহকারী ডিন সুদীপ্ত শীলের কোনও বক্তব্য পাওয়া  না গেলেও জাঃ নীলাব্জ ঘোষ বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জমা পড়েছে এরকম কেউ জানায়নি। তদন্ত কমিটিও আমায় ডাকেনি। সহকর্মীদের মুখে ওই সিদ্ধান্তের কথা শুনলাম। এ ব্যাপারে আমি বিভাগীয় প্রধানের পরামর্শ নেব।  এদিকে শাস্তিপ্রাপ্ত দুই চিকিৎসক সোহম মণ্ডল ও সাহিন সরকারকে ফোন করা হলে ধরেননি। মেসেজেরও জবাব মেলেনি।  প্রসঙ্গত, এদিন নতুন ডিন হলেন ডাঃ অনুপমনাথ গুপ্ত। পরীক্ষায় কারচুপি, থ্রেট কালচারের অভিযোগে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নামেন। সেই আন্দোলনের চাপে ডাঃ সেনগুপ্ত ও ডাঃ শীল যথাক্রমে ডিন ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিন নিজস্ব পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। এদিন কাউন্সিলের বৈঠকে ওই পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়। নতুন ডিন করা হলেও অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিনের পদ পূরণ হয়নি। অধ্যক্ষ বলেন, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বিষয়টি চিকিৎসা শিক্ষা অধিকর্তাকে জানানো হবে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে খতিয়ে দেখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হবে। যাদের খাতায় নম্বর কারচুপির অভিযোগ রয়েছে তাঁদের খাতা পুনর্মূল্যায়ন করা হবে। অভিযুক্ত জুনিয়র ডাক্তার সাহিন সরকারের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করার জন্য ডিএমই’র অনুমতিও চাওয়া হবে। এদিনই  তদন্ত কমিটির রিপোর্টও জমা পড়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)