• গৌড়বঙ্গে জমজমাট দুর্গাপুজোর বাজার
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি ও সংবাদদাতা: পুজোর বাকি মাত্র এক মাস। তার আগে সোমবার থেকে জমে উঠেছে গৌড়বঙ্গের পুজোর বাজার। এদিন বিশেষ করে বিকেলের পর থেকেই ভিড়ে থিক থিক করতে দেখা গেল ইংলিশবাজার শহরের প্রত্যেকটা জামা কাপড়ের দোকানে। বাদ গেল না শপিংমলও। এক কথায় জমে উঠেছে পুজোর বাজার। 

    মালদহ মার্চেন্টস চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, গত মাস পর্যন্ত পুজোর বাজার খারাপ ছিল। কিন্তু মাস পড়তেই পুজোর বাজার জমে উঠেছে। বিশেষ করে জামা কাপড়ের ব্যবসা ভালো হচ্ছে। সেই তুলনায় জুতোর বাজার এখনও সেভাবে জমেনি। 

    অশোক সাহা নামে এক সরকারি কর্মী এদিন অফিস থেকে বাড়ি ফিরেই স্ত্রী ছেলেকে নিয়ে পুজোর বাজার করতে বেরিয়েছিলেন। কেনাকাটা করে ঠান্ডা পানীয়ের দোকানে বসে গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে তিনি বলেন, এবারে একটু দেরি করেই বাজার শুরু করলাম।  এদিকে, ইংলিশবাজারের চিত্তরঞ্জন বাজারে কাপড়ের দোকানের পাশাপাশি ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেল খাবারের দোকানগুলিতেও। এক ক্রেতা বলেন, পুজোর বাজারও বাঙালির কাছে একটি উৎসব। 

    রায়গঞ্জেও জমে উঠেছে পুজোর বাজার। দীর্ঘ বছরে রেডিমেড পোশাকের শো-রুম থেকে শুরু করে শপিংমল, বুটিকগুলিতে শুরু হয়েছে ক্রেতাদের আনাগোনা। জেলার সর্বত্রই পোশাকের দোকানগুলিতে বাচ্চাদের কালেকশন হিসেবে শোভা পাচ্ছে বাবাস্যুট, রকমারি ফুল ছাপ জামা, গেঞ্জি, জিন্স। মেয়েদের পালাজো, ঘাগড়া, টপ। ছেলেদের রকমারি ধুতি, পাঞ্জাবি, জামা, গেঞ্জি, জিন্স।  ব্যবসায়ীরা বলেন, পুজোর কেনাকাটা কয়েক দিন আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। শহর লাগোয়া ইটাহার, হেমতাবাদের ক্রেতারা ভিড় জমাতে শুরু করেছেন শহরের দোকানগুলিতে।  রায়গঞ্জ শহরের স্টেশন লাগোয়া একটি পোশাকের শোরুমের কর্ণধার দীপক রায় বলেন,  আমাদের ব্যবসা ভালো হচ্ছে। এখন প্রতিদিনই ভিড় হচ্ছে। অন্যদিকে, ইসলামপুর, ডালখোলা, করণদিঘি, কালিয়াগঞ্জ, হেমতাবাদের বাজার ধীরে ধীরে চড়ছে। 

    এদিকে, বালুরঘাট শহরের বাজারগুলিতেও ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ছে। সন্ধ্যার পর থেকে কাপড়ের দোকানগুলিতে পা ফেলার জায়গা থাকছে না। বিশেষ করে মহিলা ক্রেতাদের ভিড় বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শপিংমলগুলিতে বেশি ভিড় হচ্ছে।  ইংলিশবাজারের নেতাজি মার্কেটে পুজোর শপিং। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)