সংবাদদাতা, মানিকচক: নৌকাডুবির পর আরও কড়া পুলিস প্রশাসন। ভূতনিতে সোমবার জারি হল নির্দিষ্ট নির্দেশিকা। ত্রাণের নৌকায় পুলিসি নিরাপত্তা নেওয়া বাধ্যতামূলক করল পুলিস। বেঁধে দেওয়া হল যাত্রীর সংখ্যাও। নেওয়া যাবে না অতিরিক্ত ভাড়াও। নির্দেশ না মানা হলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বন্যা পরিস্থিতির পর থেকেই মানিকচকের ভূতনিতে দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। প্রতিদিন তারা ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছে জলমগ্ন এলাকায়।
রবিবার ত্রাণ বোঝাই একটি নৌকা উল্টে জলে পড়ে যায় ২৫ জন যুবক-যুবতীর একটি দল। এলাকার মানুষ তড়িঘড়ি টিনের নৌকা নিয়ে এসে তাঁদের প্রাণে বাঁচান। প্রাণহানি না হলেও নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন।
মানিকচকের ব্লকের এক আধিকারিক জানান, দুর্ঘটনা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ত্রাণ দিতে আসা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি প্রশাসনিক সহায়তা চাইলে আমরা তাদের সহায়তা করব।
ব্লক প্রশাসন ভূতনি ব্রিজে থাকা নৌকার মাঝিদের জানিয়েছে, পুলিস আধিকারিককে না জানিয়ে কোনও ত্রাণ এলাকায় নিয়ে যাওয়া যাবে না। নাম নথিভুক্ত করার পরই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি ত্রাণ নিয়ে যেতে পারবে। তারা কোন এলাকায় যাচ্ছে সেটাও জানাতে হবে।
স্বেচ্ছাসেবীদের সঙ্গে থাকবে পুলিস। মাঝিদের বেশি ভাড়া বা অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে বারণ করা হয়েছে। সব নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে কি না, জানতে নজরদারি চালাবে ভূতনি থানা।
থানার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, ভূতনি ব্রিজে থানার পক্ষ থেকে আগেই অতিরিক্ত পুলিস ও সিভিক মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলি নাম নথিভুক্ত করলেই নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কিছু সংগঠন পুলিসকে না জানিয়েই ত্রাণ বিতরণে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে। সোমবার থেকে পুলিসি নিরাপত্তা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পুলিসের এই নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য চিন্ময় মণ্ডল, অরিজিৎ মুখোপাধ্যায়, নূর ইসলামরা। ফাইল চিত্র