• ২৮ দিনেও ক্রোনোলজি খুঁজছে সিবিআই
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: আর জি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনে এপর্যন্ত সিবিআই঩য়ের জালে শুধু সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। তাও সেই গ্রেপ্তারি কলকাতা পুলিসের সৌজন্যে। নির্যাতিতার উপর অত্যাচারে দ্বিতীয় কারও জড়িত থাকার সন্ধান এখনও পায়নি কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

    কিন্তু তদন্তপর্বের ওখানেই সমাপ্তি নয়। সিবিআই তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এটা জানতে যে, সঞ্জয় সেমিনার রুম থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ওখানে ঠিক কী কী ঘটেছিল! তবে সেব্যাপারে স্পষ্ট চিত্র পাওয়া নিয়ে এজেন্সির মধ্যেই সংশয় চরমে। বিশেষ করে এফআইআরে যা লেখা হয়েছে, তার আগে অন্য‌ কেউ঩ কি এই মৃতদেহ আবিষ্কারই করেনি? নাকি সে বা তারা দেখেও গোপন করে গিয়েছে? আর জি করের মতো ব্যস্ততম একটি হাসপাতালে এতটা সময় সেমিনার রুমে একটি মৃতদেহ পড়ে রইল, আর কেউ জানতে পারল না? দেহ প্রথম আবিষ্কারের আগে সত্যিই কি আর কেউ প্রবেশই করেনি সেমিনার হলে? বিচ্ছিন্নভাবে পাওয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজের বাইরেও কী কিছু ঘটেছিল? সোজা কথায়, ফাইনাল চার্জশিটের আগে ঘটনার ক্রোনোলজি জানতে চায় সিবিআই। সঞ্জয়ের প্রবেশ-প্রস্থানের ফুটেজ ও সময় তাদের কাছে আছে। তারপর থেকে মৃতদেহ আবিষ্কার, এই সময়সীমায় সেমিনার হল, করিডর, সিঁড়ি, ইমার্জেন্সিতে ঠিক কী কী মুভমেন্ট ঘটেছিল? 

    এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজতে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার সময় ও তার অব্যবহিত পরে হাসপাতালের ওই অংশে কে কোথায় ছিল এবং কী করছিল, সেটা জানতে চান তদন্তকারীরা। তাই নতুন করে বেশ কয়েকজনকে জেরা করা হবে বলে খবর। নির্যাতিতার সহকর্মী চিকিৎসক ও হাসপাতালের কয়েকজন কর্মীর দেওয়া ‘অ্যালিবাই স্টেটমেন্ট’ আরও একবার মিলিয়ে দেখা হবে। অর্থাৎ প্রথমে কলকাতা পুলিস এবং তারপর সিবিআইয়ের জেরায় তারা কে কী বিবৃতি দিয়েছেন তা আবার খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। 

    এজেন্সি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ‘ফুলপ্রুফ অ্যালবাই’ তালিকা পৃথক করা হবে। অর্থাৎ যাঁদের বিবৃতিতে সন্দেহের অবকাশ নেই। কিন্তু কিছু অসঙ্গতি এখনও রয়ে যাচ্ছে। আর সেই ধোঁয়াশা কাটাতে আবার জেরা করা হবে বেশ কয়েকজনকে। প্রথমত নিশ্চিত করা হচ্ছে, ওই সময়সীমায় থাকা কতজন সঞ্জয়কে চেনে আর কতজন চেনেই না? এর আগে ঠিক এরকম পরিস্থিতি কবে হয়েছে? অর্থাৎ, এরকমই নাইট ডিউটি। এরকমই সেমিনার হলে তরুণী চিকিৎসকের ঘুমোতে যাওয়া। সবথেকে বড় যে প্রশ্ন সিবিআইকে ভাবাচ্ছে—সঞ্জয় কি আগেই জানত যে ওই রুমে নির্যাতিতা আছে? নাকি সেদিনই জেনেছিল? এজেন্সি সূত্রের দাবি, সঞ্জয়ের ফোনের কল ডিটেলস রেকর্ডস তদন্তে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নিচ্ছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)