• বাজার ছেয়েছে নিত্যনতুন শাড়িতে, সঙ্কটের মুখে বসিরহাটের আড়ি শিল্পের কারিগররা
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বসিরহাট: বাজারে নিত্যনতুন জরি বসানো শাড়ি আসছে কলকাতা থেকে। ফলে বসিরহাটের আড়ি শিল্প সঙ্কটের মুখে। কাপড়ে মূলত সুতো এবং সঙ্গে পাথর সহ কিছু জিনিস দিয়ে নকশা করা হয় এখানে। আগে বসিরহাটের বাদুড়িয়া, সংগ্রামপুর, যদুরহাটি, নাটোরিয়া সহ একাধিক জায়গায় এই আড়ি শিল্প রমরম করে চলত। কিন্তু এখন কাপড়ের উপরে পুঁতি, জরি ইত্যাদি বসানো নানারকমের শাড়ি কলকাতা থেকে আসছে। এর ফলে আড়ি শিল্পের আর তেমন চাহিদা নেই। এলাকার মহিলারা আগে ঘরে বসেই সারাদিন খেটে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা উপার্জন করতে পারতেন। এখন আর সেটা হয় না। এর ফলে এই সমস্ত পরিবার আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ফিরোজা বিবি বলেন, একটা সময়ে কলকাতা থেকে বহু ব্যবসায়ী আমাদের কাছে আসতেন নানারকম শাড়ি অর্ডার করতে। আমরাও দিনরাত খেটে সেই সমস্ত শাড়ি কলকাতায় পাঠাতাম। 

    এছাড়াও স্থানীয় বাজারে আমাদের শাড়ির বিপুল চাহিদা ছিল। দিনরাত খেটেও আমরা অর্ডার অনুযায়ী শাড়ি দিতে পারতাম না। কিন্তু যতদিন যাচ্ছে, ততই আমাদের শাড়ির চাহিদা কমে যাচ্ছে। জানি না ভবিষ্যতে এই শাড়ি আর চলবে কি না। সরকারিভাবে তেমন কোনও সুযোগ-সুবিধাও আমরা পাই না। ভোট এলেই নেতারা শুধু আশ্বাস দেন। ভোট মিটে গেলে আমাদের খোঁজ আর কেউ নেন না। আমাদের এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে গেলে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকার আমাদের আর্থিকভাবে সাহায্য করলে শিল্পটা বাঁচিয়ে রাখা যাবে।

    এই বিষয়ে বসিরহাটের বিধায়ক সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কলকাতা থেকে এখন রকমারি শাড়ি আসছে স্থানীয় বাজারে। কলকাতার সেইসব শাড়ির খুব কদরও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে। এর ফলে স্থানীয় আড়ি শিল্পের এই পরিস্থিতি। তবে আমরা এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দেখব, ওই সমস্ত শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানো যায় কি না।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)