• বেহাল অবস্থা দেগঙ্গা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের হাল ফেরানোর দাবিতে সরব মানুষ
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: রয়েছে হাসপাতালের ভবন। কিন্তু তার অবস্থা একেবারেই জরাজীর্ণ। উপর থেকে ভেঙে পড়ছে একের পর এক চাঁই। একটু ভালো থাকা ভবনে চলছে চিকিৎসা। কিন্তু একটা সময় এই হাসপাতালেই সঠিক পরিবেশে চিকিৎসা পরিষেবা মিলতো। এলাকার মানুষ চাইছেন, আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক দেগঙ্গার কলসুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে। তাই ওই হাসপাতালে পরিকাঠামোর বেহাল দশা ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। 

    দেগঙ্গার কলসুর এলাকায় কয়েক বছর আগে তৈরি হয়েছিল একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। সেখানে প্রথম প্রথম মিলতো ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা পরিষেবা। চিকিৎসকদের থাকার জন্য রয়েছে হাসপাতালের পাশে ঘর। সেগুলির অবস্থা একেবারেই বেহাল। তাছাড়া যে ঘরে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয় তারও অবস্থা তথৈবচ। স্বাভাবিকভাবে এই হাসপাতালের চিকিৎসা করাতে আসতে ভয় পাচ্ছেন অনেকেই।

    কলসুর হাসপাতালের উপর চাকলার একাংশ, বাদুড়িয়া ও কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েত সহ আশেপাশের গ্রামের মানুষ নির্ভর করত। কিন্তু বর্তমানে মাত্র একজন চিকিৎসক রয়েছেন এখানে। হাসপাতালের চারপাশ ভরে গিয়েছে আগাছায়। ফলে ঝুঁকি নিয়েই চিকিৎসা করাতে আসতে হয় সাধারণ মানুষকে। এ নিয়ে দ্রুত প্রশাসনের নজরদারির দাবি তুলেছেন এলাকার মানুষ। কারণ এই এলাকা থেকে বারাসত হাসপাতালে আসতে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে। আর হাবড়া হাসপাতালে যেতেও সময় লাগে অনেক। ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার বাসিন্দারাই।

    স্থানীয় বাসিন্দা মৌমি গায়েন বলেন, আগে কী সুন্দর চিকিৎসা পরিষেবা মিলত এখানে। কিন্তু এখন আর নেই। ফলে, কেউ রাতে অসুস্থ হলে ছুটতে হয় বারাসত বা হাবড়া হাসপাতালে। আরেক বাসিন্দা রিজানুর খান বলেন, হাসপাতালটি আগের মতো প্রাণ পেলে ভালো হয়। এখানে সবরকম পরিকাঠামো আছে। সংস্কার করা হলে কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হবে। এনিয়ে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, আমি ওই হাসপাতালটি ঘুরে দেখেছি। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তারাও গিয়েছেন। পরিকাঠামো তৈরির জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)