• করোনায় বন্ধ ছিল জঞ্জাল সাফাই কর আদায়, ফের চালু করল দক্ষিণ দমদম
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: করোনার কারণে মন্দা এসেছিল ব্যবসায়। তখন দোকান ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে আবর্জনা সংগ্রহের পরিষেবা কর আদায় বন্ধ করেছিল পুরসভা। করোনা বিদায় নিয়েছে। তারপর প্রায় চার বছর বাদে ফের পুর্বতন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভা। সম্প্রতি বোর্ড মিটিংয়ে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পুরসভা সূত্রে খবর, দুর্গা পুজোর আগে তা চালু করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। পুরকর্তাদের বক্তব্য, গত কয়েক বছরে শহরে বহু নতুন রেস্তরাঁ ও দোকান গজিয়ে উঠেছে। সেগুলিকে চিহ্নিত করে আবর্জনা সংগ্রহ পরিষবা করের আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তুতিও চলছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বহু বছর ধরে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য দোকানের মাপ অনুযায়ী কর আদায় করা হতো। ২০২০ সালে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের হাল তলানিতে ঠেকে গিয়েছিল। ব্যবসায়ীরা বারবার কর আদায় বন্ধ রাখার আবেদন করেছিলেন। তা শুনে তৎকালীন পুরবোর্ড কর আদায় বন্ধ রাখে। তারপর করোনা বিদায় নিলেও কর আদায় শুরু করা হয়নি। 

    বর্তমানে পুরসভার আর্থিক হাল ভালো নয়। কাজ করেও পয়সা মিলছে না বলে অভিযোগ তুলছেন ঠিকাদাররা। ক্ষোভও বাড়ছে তাঁদের। এই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় পুরসভা নিজেদের আয় বাড়াতে মরিয়া। খরচ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আয় বাড়ানোর সম্ভাবনাগুলি নিয়ে আলোচনা চলছে। ওই পরিস্থিতিতে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থেকে আবর্জনা সংগ্রহের কর আদায় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

    পুরসভা সূত্রে খবর, গত চার বছরে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছোট দোকানের সংখ্যা বেড়েছে। খাবারের, মুদি বা স্টেশনারি দোকান তৈরি হয়েছে। পুরসভা এই সমস্ত দোকান চিহ্নিত করে জঞ্জাল আদায় কর শুরু করলে আয় বাড়বে। পুরসভার এক আধিকারিক বলেন, আয় বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি শহর পরিচ্ছন্ন রাখার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছে, দোকানগুলি চিহ্নিত করার পর আবর্জনা সংগ্রহের ডাস্টবিন রাখা হবে। পুরসভার কর্মীরা নিয়মিত সেখান থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করবেন। জানা গিয়েছে, বহু ছোট দোকানের মালিক তাঁদের বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন। পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল (সিআইসি) সঞ্জয় দাস বলেন, ‘করোনার আগে বেসরকারি দোকান, মল, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য পুরসভা পরিষেবার টাকা সংগ্রহ করত। তখন ব্যবসায়ীরাও সচেতন ছিলেন। আবর্জনা সংগ্রহে কোনও গাফিলতি নজরে এলে তাঁরা প্রতিবাদ জানাতেন। করোনায় ব্যবসায়িক মন্দার কারণে তা বন্ধ রাখা হয়েছিল। নতুন করে তা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
  • Link to this news (বর্তমান)