• বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএমসিপির বিক্ষোভের জেরে বন্ধ পরীক্ষা, পঠন-পাঠন
    বর্তমান | ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কল্যাণী: বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিসিকেভি) মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। এই বিক্ষোভ থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি তোলা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অচলাবস্থা চলছে। এদিনের বিক্ষোভে পঠন-পাঠন সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। আন্দোলনকারীদের দাবি, গত বছর ইউজিসি’র নির্দেশে র‌্যাগিং রুখতে কর্তৃপক্ষ প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রদের সঙ্গে একই হস্টেলে থাকার ব্যবস্থা করে। কিন্তু এবার কারও সঙ্গে আলোচনা না করে সিদ্ধান্ত বদলে প্রথম বর্ষের সঙ্গে দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়াদের একসঙ্গে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। তাতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্রছাত্রীরা। 

    সেই বিক্ষোভের মধ্যেই গত ৬ সেপ্টেম্বর উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। কিন্তু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তাঁরা দেখা করতে পারেননি। তাঁরা প্রশ্ন তোলেন, ক্যাম্পাসে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন পড়ুয়ারা? এরপর নিরাপত্তার অভাবের প্রশ্ন তুলে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেট সহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মসূচি অচল করে দেবেন বলে তাঁরা ঘোষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার সহ অন্যান্য আধিকারিকরা যখন আসেন, তাঁদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। এরপরে পরিস্থিতি সামাল দিতে মহকুমা শাসকের দুই প্রতিনিধি, হরিণঘাটার পুরপ্রধান, থানার আইসি ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়, মহকুমা শাসকের দপ্তরে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এরপর বেলা একটা নাগাদ গেট খুলে দেন আন্দোলনকারীরা। তবে পঠন-পাঠন বা পরীক্ষা এদিন আর হয়নি।

    তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিসিকেভি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ দাস বলেন, আমাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বলা হয়েছিল, আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। সেই মতো নোটিস জারি হবে। কিন্তু এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ কোনও নোটিস জারি করেনি। তাই আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি। এই আন্দোলনের বিরোধী কয়েকজন পড়ুয়ার দাবি, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এই আন্দোলনের জন্য দু’দিন ধরে পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। একাডেমিক ইয়ার প্রায় দেড় মাস পিছিয়ে গিয়েছে। আমাদের অভিভাবকরা এই ঘটনায় বিভ্রান্ত। হয়রান হতে হচ্ছে আমাদের। অন্যদিকে, উপাচার্য বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 
  • Link to this news (বর্তমান)